আওয়ার ইসলাম : সারা দেশে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে এবার অংশ নেবে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্র সচিবকেও এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
আট সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
পরীক্ষার্থী
এসএসসি: ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন
দাখিল: দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন
কারিগরি: এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন
গতবছর এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন।
এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র; ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে থেকে ৪৫৮জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ফেসবুক বন্ধে ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কাল বৃহস্পতিবার থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাল থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা তো আর ফেসবুক বন্ধ করতে পারবেন না। কিন্তু যারা এই ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ অন্য যাঁরা আছেন, তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। তাঁদের সমস্যাটি বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তারা বলেছেন, এটা প্রতিহত (ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়ানো) করার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখবেন কি না, সেটাও তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। তারা সাহায্য করার বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা তাঁদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন।’
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্যও আইন করা হচ্ছে।’
আরএম