আওয়ার ইসলাম: অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০১৮ উপলক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে কবি ও সাংবাদিক সৈয়দ শিশির-এর কলাম সংকলন ‘নির্বাচিত কলাম’বইটি প্রকাশ করেছে সাহস পাবলিকেশন্স।
২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ২১টি কলামের সংকলন ১৪৪ পৃষ্ঠার এ বইটি। নির্বাচিত কলাম’র চমৎকার প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। মেলায় প্রথম দিন থেকেই বইটি পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও রকমারি.কম-এ (মুঠোফোন-০১৫১৯৫২১৯৭১) অর্ডার করলে ঘরে বসেই মিলবে নির্বাচিত কলাম।
কলাম হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের সেই বিশেষ শাখা যা কোনো সমাজ বা সমন্বিত জনগোষ্টি কিংবা মানবসমাজ ভিন্ন অন্য কোনো ব্যবস্থা যার সঙ্গে মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট থাকে এমন পরিবেশের পর্যালোচনা, সমস্যা ও সমাধান সহ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ইত্যাদি প্রবন্ধ আকারে লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করা হয়।
সৈয়দ শিশিরের ‘নির্বাচিত কলাম’ পড়ে বলা যায়, নির্বাচিত কলাম’র সবগুলো কলাম জুড়ে তাঁর জাদুকরি বিশ্লেষণী শক্তি আমাদের সমসাময়িক নানা বিষয়ের অনেক গভীরে নিয়ে যায় অনায়াসেই। পাঠক হিসেবে মগ্ন হই, সময় ও সমাজের নতুন এক ছবি ভেসে ওঠে চোখে।
দেশের গণমাধ্যম, শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা ‘নির্বাচিত কলাম’ বইটি পড়ে আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ এক নাগরিকের ক্ষোভ আর হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হলেও অসাধারণ বিশ্লেষণী শক্তির জন্য উপস্থাপিত বিষয়গুলো সময়ের প্রতিচিত্র হয়ে ওঠেছে।
আরও বলা যায়, লেখকের ক্ষোভের জায়গাটা মূলত ঘুণে ধরা সমাজের বিরুদ্ধে। খানিকটা প্রতিবাদ ঢঙে লেখা এসব কলামে তাঁর বিশ্লেষণী ও অনুসন্ধানী মনোভাব পাঠককে জাগিয়ে তোলে, অনুরণিত ও আন্দোলিত করে।
একজন মনযোগী পাঠক তাই হঠাৎ করেই জেগে ওঠতে পারেন সৈয়দ শিশিরে কলাম পাঠে। বিবেককে জাগ্রত করবার মতো ক্ষমতা সবার থাকে না। সৈয়দ শিশিরেরও পুরোটা থাকার কথা না। তবে যতটুকু আছে সেটাই বা কজনের আছে?
কবি ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত সৈয়দ শিশিরের অধিকাংশ কলামই সরল গদ্যে লেখা। পাঠককে তিনি ভাবাতে পারেন, উদ্দীপিত করতে পারেন। এরচেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি? বিষয়ের গভীরতার পাশাপাশি ভাষার ওপর তাঁর দক্ষতা স্পষ্ট। মনোগ্রাহী তাঁর রচনাভঙ্গি। তাই কোথাও হোঁচট খেতে হয় না, বরং অনায়াসেই পড়ে ফেলা যায়।
তবে পাঠক ভুলতে পারবেন না বইটির কলামগুলোর মধ্যে তুলে ধরা বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা। কিছু কিছু লেখার বিষয় দেশ ও কালের পরিধি ছাড়িয়ে গিয়েছে আমার বিশ্বাস। তবে শেষ কথাটি বলবেন পাঠক। একজন পাঠক হিসেবেই বইটি পড়ে ঋদ্ধ হয়েছি।
সাংবাদিক ও কবি সৈয়দ শিশিরের জন্ম ১৯৭৭ সালের ২৩ জুলাই। বাবা সৈয়দ মঞ্জুরুল হামিদ, মাতা মরহুমা ফাতেমা বেগম। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়সূতী গ্রামে।
২০০৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আমি তার, যে আমার’। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় তার মধুর ও তীব্র অনুভূতিসম্পন্ন বাক্যবান ‘প্রবচনগুচ্ছ’। সৈয়দ শিশির কবিতার পাশাপাশি লিখছেন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, সাহিত্য, সমালোচনা গল্প ও ছড়া। সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে প্রকৃতি তার গুরু। এক সময়ে সম্পাদনা করতেন ছোটকাগজ ‘অবিশঙ্ক প্রতীতি’, বর্তমানে সম্পাদনা করছেন পাঠকপ্রিয় ছোটকাগজ ‘আড়াইলেন’।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদক, প্রধান প্রতিবেদক, ফিচার লেখক, সহ সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দ শিশির। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার সিনিয়র লেখক, সম্পাদক, আরঅ্যান্ডডির প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভিজিট ছাড়াই সুখী হওয়ার ফ্রি প্রেসক্রিপশন