পাঁচশ'র অধিক ক্ষুদে বিজ্ঞানীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে চলছে ৩ দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। স্বল্প সময় ও কম খরচের তাক লাগানো নানা আধুনিক উদ্ভাবন নিয়ে বড়দের নজর কাড়ছে বিজ্ঞানমনস্ক শিশু কিশোররা। মেলার শেষদিনে সেরা প্রকল্পগুলোকে পুরস্কার দেবার পাশাপাশি দেশ ও দেশের বাইরে গবেষণায় সুযোগ দেবার পরিকল্পনা আয়োজকদের।
সড়ক বাতি সবসময়ই জ্বলবে না। সেন্সরযুক্ত সড়কবাতির নিচ দিয়ে কোন মানুষ বা যানবাহন গেলেই কেবল তা জ্বলে উঠবে। ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ অপচয় রোধের অভিনব উদ্ভাবন নিয়ে এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় এসেছে বিসিএসআইআর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ৩ শিক্ষার্থী।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গাড়ির ছায়া পরলেই একমাত্র বাতি জ্বলবে। এতে বিদ্যুতের খরচ কম হবে। আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, আমাদের মডেল অনুযায়ী চাষ করলে বেশি ফসল পাওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের ১৭৭ টি প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে। নিজেদের উদ্ভাবনের পাশাপাশি অন্যদের নতুন আবিষ্কার দেখে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হচ্ছে শিশু কিশোররা।
তারা বলেন, 'অন্যদের ভালো হয়েছে। আগামীবার আমরাও অন্যদের থেকে ভালো করবো। এই ধরনের প্রজেক্ট গুলো দেখলে আমরা প্রেরণা পায়।'
এদিকে প্রথম থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে প্রতিদিন শিশুদের সাথে নিয়ে অভিভাবকরাও ভিড় জমাচ্ছেন বিসিএসআইআর এর মেলা প্রাঙ্গণে। তারা বলেন, আমাদের বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করছে দেখে উৎসাহিত হচ্ছে তাতে আমার ভালো লাগছে। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাওয়া সম্ভব হবে।
এদিকে মেলায় আসা সেরা প্রকল্পগুলোকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিএসআইআর কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন, যারা প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় হবে তারা যদি চান তাদের গবেষণা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে চালিয়ে যেতে পারবে,। আমরা তাদের আর্থিক সহায়তা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেবো।
বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় রোধ, যানজট নিরসন, আবর্জনা অপসারণ থেকে শুরু করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ সেবা প্রদানের বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের ৫৬২ জন ক্ষুদে বিজ্ঞানী। ছোটদের এই বড় চিন্তা সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা। সময়।