আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম জেলার দাওয়াতে তাবলিগের ইজতেমা হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া এলাকায় গত বছরের ন্যায় এ বছরও অনুষ্ঠিত হবে। ২৬, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি তিনদিন চলবে এই ইজতেমা।
উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে চারিয়া এলাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ইজতেমা।
ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রস্তুতি। হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছে। তিনদিনের এই ছফরে আগতদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে চলে আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহের লক্ষ্যেই ইজতেমায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
১৬৫ একর জমিতে প্রায় ২০ লক্ষ বর্গফুট শামিয়ানা টাঙ্গানো হয়েছে। ২০০০ হাজার টয়লেট, ১৬টি পুকুরসহ আনিস খালে দীর্ঘ ৫০০ গজ বিশিষ্ট পাকা ঘাট, ২টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, ৪টি অস্থায়ী মেডিকেল সেন্টার, ৩টি এম্বুলেন্স, ৫০০০ হাজার সেচ্চাসেবক ও ১২০০ শত পুলিশ বাহিনী হাটহাজারী থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত সার্বক্ষণিক ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছে।
তাছাড়াও পয়:নিষ্কাশনের জন্যে ইজতেমা মাঠের উত্তর পার্শে ১৫০০০ স্কয়ার ফিট এবং দক্ষিণ পার্শে ২০০০ হাজার স্কয়ার ফিট নালা নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ পাশ করেছে। হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইজতেমার মূল সমন্বয়ক হাটহাজারী মাদ্রসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন বলেন, ইজতেমার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন দিন ব্যাপী চট্টগ্রাম জেলা ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সকরের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, ইজতেমায় মন্ত্রী, বিচারপতি, সাংসদ, সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ভিআইপিও চিকিৎসকরা বিভিন্ন দলের রাজনিতিক নেতাসহ দেশি-বিদেশি অনেক অতিথি অংশ নেবে। ইতোমধ্যে সৌদি আরব, চীন, সুইডেন, ইন্দোনেশিয়া, জর্দান, মিশর, আলজেরিয়া, দুবাই, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া বিশ্বের ১০০টি দেশ থেকে বিদেশি মেহমানরা আসতে শুরু করেছেন ইজতেমা ময়দানে।
জানা গেছে, আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে মাঠে থাকতে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ। সাদা পোশাকে গোয়ন্দা সংস্থার বিশেষ টিমসহ থাকবে মোবাইল টিম ও টহল টিম। তাছাড়া ৫০ স্পটে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
চট্টগ্রাম জেলা ইজতেমায় ৭ জনকে অংশ না নেয়ার আবেদন আলেমদের