বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে চাঁদাবাজির মামলায় ড. হারুনুর রশিদ নামের একজন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে জালালপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করেন মোগলাবাজার থানার এসআই সোহেল রানা।
এর আগে, বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জালালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা সোলায়মানকে প্রধান আসামি করে কয়েকেজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জালালপুর ফাউন্ডেশন ও ওমর একাডেমির নামে টাকা উত্তোলনের রশিদে মাওলানা সোলায়মান বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার ভোর রাতে মোগলাবজার থানার এসআই সেহেল রানার নেতৃত্বে দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের জামায়াত নেতা ড. হারুনুর রশিকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায় গত বেশ কিছুদিন ধরে মাওলানা সোলায়মান এভাবে চাঁদাবাজি করে আসছেন। চাঁদার টাকা তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের পেছনে খরচ করছেন। দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জমায়াত নেতা মাওলানা সোলায়মানের বাড়িতে থেকে সরকার বিরোধী নানা তৎপরতায় সক্রিয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন জানান, জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জমায়াত নেতা মাওলানা সোলায়মান টাকার রশিদে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে জালালপুর ফাউন্ডেশন এবং ওমর একাডেমির নামে টাকা উত্তোলন করায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় বুধবার ভোর রাতে জামায়াত নেতা ড. হারুনুর রশিদকে আটক করা হয়েছে।
মোগলাবাজার থানাধীন জালালপুরের নিজ জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা জাময়াত নেতা মাওলানা সোলায়মান। দক্ষিণ সুরমায় জামায়াতের গোপন কার্যক্রম তার নেতৃত্বে চলছে।
মাওলানা সোলায়মানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, অতীতে তিনি ফাউন্ডেশন ও স্কুলের নামে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করে নিজে জায়গা জমি ক্রয় করে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। বিদেশ থেকেও অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে চাঁদার রশিদে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহারের বিষয়টি জানার পর দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিডি প্রতিদিন।