আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর শিশুদের ডিপথেরিয়া রোগের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মোট ৫ লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে দেয়া হবে এই টিকা।
ডিপথেরিয়া যেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৪৯৯টি স্কুলের এক লাখ ৬০ হাজার স্থানীয় শিশুকেও ডিপথেরিয়া টিকা দেওয়া হচ্ছে।
নতুন বছরের শুরুতে সরকারের দেয়া বিনা মূল্যের বই সংগ্রহ করতে এসময় বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত হয়ে থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পহেলা জানুয়ারি থেকে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক খবরে জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপক হারে ডিপথেরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ায় কক্সবাজারে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং আশপাশের এলাকায় চার লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশুকে টিকা দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফসহ স্বাস্থ্য খাতের সহযোগীরা।
ডব্লিউএইচও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডিপথেরিয়া যাতে আরো ছড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সকল প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে শিশুদের টিকাদান প্রাণঘাতী রোগ-ব্যাধি থেকে জনগণ বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষায় সরকারের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।’
বার্তা সংস্থা বাসস জানয়েছে, ছয় সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ছয় থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় দেড় লাখ শিশুকে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়া হয়েছে। এ টিকা তাদের ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হেপাটাইটিস-বি থেকে রক্ষা করবে।
এছাড়া গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া তিন সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী এক লাখ ৬৬ হাজার শিশুকে টিডি (টিটেনাস এন্ড ডিপথেরিয়া) টিকা দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকার শিশুদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার জন্য আরো দুই দফা টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করা সব শিশু যেন টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসে তা নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেদের বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থার উন্নয়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর পাশাপাশি ডিপথেরিয়ার আরো প্রকোপের ঝুঁকি কমাতে ডিপথেরিয়ার টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এসএস/