আওয়ার ইসলাম: স্কুল-কলেজে সরকার নির্ধারিত ফি’র পরিবর্তে ভর্তি ও ফরম ফিলাপ বানিজ্য বন্ধে এবার মাঠে নেমেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মনিটরিং করার জন্যি শিক্ষামন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ৬টি কমিটি গঠন করেছে।
এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও রাখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, রাজধানীর বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবার ভর্তি ও এসএসসি-এইচএসসি স্তরে পরীক্ষার ফরমপূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে।
এছাড়া শিক্ষা বোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকেও আমরা অভিযোগ পাচ্ছি।
এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চিত্র দেখতে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিগুলো ভর্তি নীতিমালায় ধরে দেয়া ফি এবং বোর্ডের নির্দেশনার বাইরে কোনো অর্থ নিয়েছে কিনা- সে বিষয়ে খোঁজখবর নেবে।
জানা গেছে, ৪ জন অতিরিক্ত সচিব ও দুইজন যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে এই ৬টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি টিমে তিনজন করে সদস্য রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. অরুণা বিশ্বাসের নেতৃত্বে গঠিত টিমকে মতিঝিল, সবুজবাগ, পল্টন ও শাহবাগ থানা এলাকায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদের নেতৃত্বে টিমটি সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, নিউমার্কেট ও রমনা থানার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখবে।
অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বের টিমকে উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা, বিমানবন্দর, তুরাগ, শাহআলী থানা এলাকা দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বেগম রুহী রহমানের নেতৃত্বের টিমকে মিরপুর, পল্লবী, শাহআলী, দারুসসালাম থানা দেয়া হয়েছে।
যুগ্মসচিব সালমা জাহানের নেতৃত্বে টিম ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট ও গুলশান থানা এলাকা দেখবে।
যুগ্মসচিব মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বের টিমকে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, বাড্ডা ও খিলগাঁও থানা এলাকার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মনিটরিং টিমের সমন্বয় করবেন অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক)।
কমিটির কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তদন্ত করে প্রতিবেদন একটি পুস্তক আকারে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে স্বেচ্ছাচারিতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।
শিক্বষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় নাম্বার কম দেয়অ সহ নানান অপকর্ম তারা করছেন।অভিভাবকরা এসবের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আশা করি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মনিটরিং করলে অভিভাবকরা উপকৃত হবেন।
এসএস/