শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

ছবি তোলা নাজায়েজ হলে আলেমরা কেন বয়ানের ভিডিও করেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ ডিজিটাল ছবি (যা প্রিন্টেড নয়) নিয়ে অনেক আলেম ও মুফতি জায়েজের ফতোয়া দিলেও দেওবন্দসহ হক্কানি আলেমদের অবস্থান এখনো কঠোর। তারা ছবি ও ভিডিওকে জায়েজ মনে করেন না। বাংলাদেশের উলামাও এ বিষয়ে একম।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আলেম উলামাগণ ছবিকে নাজায়েজ মনে করলেও ভিডিওকে মনে করেন না। তারা অবাধে ভিডিও করেন এবং ইউটিউবে প্রচার করেন। এটা কিভাবে বৈধ?

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, মাদরাসা নূরে মদীনার মুহাতামিম আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী।

ভিডিও বক্তব্যে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ওয়াজ মাহফিলগুলোতে ছবি তোলা এবং ভিডিও করার ব্যাপারে আমি খুবই কঠোর ছিলাম। কিন্তু, ইদানীং বাতিলদের বিভিন্ন মিথ্যাচারের জবাব ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার করছি এখন অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়েছেন, এতদিন যেই ছবি নিষেধ করলেন এখন সেই ছবির অনুমতি কিভাবে দিচ্ছেন?

এ ব্যাপারে ফেকাহ’র কিতাবে স্পষ্ট লেখা আছে, ইসলামে এমন অনেক বিধান রয়েছে, যেসব বিধান সাধারণ অবস্থায় নিষিদ্ধ বা হারাম, সেসব বিধান প্রয়োজনের খাতিরে ভুক্তোভোগি ব্যক্তি বিশেষের জন্য জায়েজ হয়ে যায়। ঠিক তেমনই একটি বিধান হলো, মানুষ ও প্রাণীর ছবির বিধান।

রাসুলের অনেক হাদিসে মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলা এবং সংরক্ষণ করা, যত্ম করা, হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।

সাধারণ অবস্থায় ইসলামের এই বিধান কেয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে। খামখেয়ালি করে বিলাসিতা বশত যারা মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলে, সংরক্ষণ করে তারা হারাম কাজ করছে এবং গুনাহ করছে। কেয়ামতের ময়দানে তারা গুনাহগার অপরাধী হয়েও উঠবে।

কিন্তু ইসলামি বিধানশাস্ত্র ফেকাহ এর পরিভাষায় জরুরত ও হাজাত বলতে দুটি বিষয় আছে। বাংলা ভাষায় বলা যেতে পারে নিতান্ত প্রয়োজনীয় অবস্থা। অত্যন্ত জরুরি অবস্থায় ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা এবং ব্যবহার করা জায়েজ।

উদারণসরূপ বলা যেতে পারে, বাংলাদেশ থেকে একজন হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে পাসপোর্ট করতে হবে এবং পাসপোর্ট করতে গেলে ছবিও তুলতে হবে। হজ পালনকারী ব্যক্তি বিলাসিতা করে এই ছবি তুলছে না বরং নিতান্ত প্রয়োজনের খাতিরে তাকে ছবি তুলতে হচ্ছে।

সুতরাং এ ব্যাপারে  ইসলামের বিধান সুস্পষ্ট যে নিতান্ত কোনো প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ও প্রাণীর ছবি তোলা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হারাম। শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ইসলামের পরিভাষায় যাকে জরুরত এবং হাজাত বলা হয়, এমন ক্ষেত্রে ছবি তোলা জায়েজ।

জরুরত ও হাজাত কাকে বলা হয়? এই দুটি বিষয় সবিস্তারে মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ তার ‘ছবি  ভিডিও এর শরয়ি বিধান’ নামক কিতাবে সম্পূর্ণ সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং, আমরা কেবল মাত্র একান্ত প্রয়োজন অনুভব করে ছবি তুলবো এবং ব্যবহার করবো । আল্লাহ আমাদের সঠিক তথ্য জেনে শুদ্ধ আমল করার তাওফিক দিন।

ভিডিও


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ