শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ভারত সরকারের ‘তিন তালাক বিল’ নারী অধিকার বিরুদ্ধ : মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ মাদানী
দেওবন্দ থেকে
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এক সাধারণ বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছে, ভারত সরাকরের পেশকৃত 'বিবাহিত নারীদের অধিকার সুরক্ষা' আইন মুসলমানদের জন্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ উক্ত আইন স্বয়ং নারী অধিকার বিরুদ্ধ এবং তাদের অসুবিধা ও সমস্যার অন্যতম কারণ৷

উপরন্তু এটি ইসলামী বিধানের মাঝে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ৷ সংবিধানে ইসলামী আইন ও ধর্মীয় স্বাধীনতার মূলধারার এবং সুপ্রিম কোর্টের দেয়া ২২-৮- ২০১৭ এর তিন তালাক সংক্রান্ত বিধির সাথে সাংঘর্ষিক৷

এই বিলটির বিষয়বস্তু বৈপরীত্বময়৷ একদিকে তিন তালাককে অসদাচরণ এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করা হয়েছে অপরদিকে তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে তিন তালাক প্রয়োগকারীর জন্য তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ জারী করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তালাকই যদি পতিত না হয় তাহলে তিন তালাকের উপর শাস্তি কিভাবে হতে পারে?

এই বিল এর ৪.৫.৬.৭ নং অনুচ্ছেদ সংবিধানে পূর্ব থেকে বিদ্যমান আইনের সাংঘর্ষিক৷ (যেমন গার্ডিয়ান এবং ওয়ার্ড অ্যাক্ট ইত্যাদি) এবং সংবিধানের ৪১ নং অনুচ্ছেদ ও ৫১ নং অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক৷ কারণ এই বিলে, যেসব মুসলিম নারীরা পূর্বে একযোগে তালাকপ্রাপ্তা হয়েছে তাদের সাথে এবং তারা ব্যতিত অন্য মুসলিম নারীদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে৷

এটা একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যে, এই প্রদত্ত আইন যে সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে উক্ত আইনের ক্ষেত্রে সে সম্প্রদায়ের সাথে না পরামর্শ করা হয়েছে, না নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ এবং না কোনো মুসলিম সংগঠন বা সংগঠকের পরামর্শ নেয়া হয়েছে এবং না কোনো মুসলিম নারী সমিতির সাথে আলোচনা করা হয়েছে।

যেহেতু এই বিলটি শরিয়তে ইসলামী এবং হিন্দুস্তানী আইন উভয়ের সাথে সাংঘর্ষিক, উপরন্তু নারীদের অধিকারের মাঝে হস্তক্ষেপ তাই আমরা জোরদার প্রতিবাদ জানাই সরকার সংসদে এই বিলটি প্রত্যাহার করুক৷

নতুবা পরিস্থিতি বিপরীত দিকেও নিতে পারে মোড়৷ আর যদি এই বিল বজায় রাখা প্রয়োজনই হয়ে থাকে তাহলে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং মুসলিম নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংগঠন ও সংগঠকের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতেই করা হোক। আমরা চাই উক্ত বিলটি নারী অধিকার রক্ষার জন্য শরিয়াতে ইসলামী এবং ভারতের সংবিধান উভয়টির সাথে সামঞ্জস্যময় হোক।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ