মুহাম্মদ মোশারাফ হোসাইন: ২১ ডিসেম্বর “মানবতার নবী হজরত মুহাম্মদ সা.। রোহিঙ্গা সঙ্কট: সঙ্কটে বাংলাদেশ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে পীরে কামেল, মুহাদ্দিস ও গবেষক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, একটা শব্দ পরিষ্কার। রোহিঙ্গা। এই শব্দটা এখন আর ভালো নেই।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একলোকের সাথে দেখা্। তিনি হোসাইন আহমদ মাদানীর খলিফা অথবা ছাত্র হবেন। তিনি এই শেষ সময়ে (বৃদ্ধ) বাংলাদেশে এসেছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এই শেষ সময়ে এত পথ পারি দিয়ে কিভাবে বাংলাদেশে এসেছেন?
তিনি বলে কেঁদে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি দেখলাম শাইখুল ইসলাম রহ. আমাকে ধরে বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন। আমার অত্যন্ত ভালো লেগছে যে তিনি আমাকে নাফ নদী পার করে যেখানে বেঁচে থাকা যায় এমন নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন।
মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, এরা রোহিঙ্গা। এরা আমাদের মেহমান। এরা অনেক কারণেই এখানে এসেছে। তাদের নিজেদের কিছু দোষ আছে। নিজেদের নির্বুদ্ধিতার কারণে, নিজেদের অনৈক্যের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তারা পার্লামেন্টে ছিল। কৌশলে তাদের পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিয়েছে।
তাদের মধ্যে একজন আরশাদ মাদানীর প্রয়োজন ছিল। যিনি এই বয়সেও আসামিদের দুই নম্বর নাগরিক বানানোর পায়তারায় প্রথম মুহূর্তেই ধরিয়ে দিয়েছেন। এখানেই থামিয়ে দিয়েছেন। তারা সাকসেস। তার গলায় মালা পরানো উচিত।
আজ যদি আসামের নাগরীকদের দুই নাম্বার নাগরিক বানানো হত, আগামীকাল তাদের আরাকানি বানিয়ে, রোহিঙ্গাদের মতো বাংলাদেশে পাঠাতো। তিনি সে পখ বন্ধ করে দিয়েছেন। আরাকানের মুসলমানদের সেই চেতনাটা ছিল না।
অভাব অনটনের কারণে, তাদের শিক্ষাহীনতার কারণে শত্রু চিনতে ভুল করেছে। তারা বন্ধু চিনতেও ভুল করেছে। রাজনৈতিক পদক্ষেপ যথা সময়ে নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
আমি তাদের সম্পর্কে কথাটা বলব, ওদের রোহিঙ্গা বলতে ভালো লাগে না। আরাকানি মুসলিম বলতে ভালো লাগে। আরাকান শব্দের মধ্যে এখনো একটা মর্যদা ভাসমান। আরাকান শব্দের মধ্যে এখনো একটা ইতিহাস নিহিত রয়েছে।
দুঃখের বিষয় হলো, এখন শ্রেণি একজন আরেক জনকে রোহিঙ্গা বলে গালি দেয়। এটা অত্যন্ত দুঃখ লাগে। তারা আমাদের মেহেমান। তাদের নিযে যদি আমরাই ঠাট্টা বিদ্রূপ করি, আবহেলা করি, তাহলে কীভাবে হবে!
আরেকটা কথা, আমি তাদের রোহিঙ্গা বলব না, আরাকানি বলব। তাদের মুসলিম বলে সম্ভোধন না করে, তাদের মজলুম মানব।
আমার আবেদন থকবে, সাংবাদিক ভাইযেরা এই মজলুম (রোহিঙ্গা) জাতির জন্য কাজ করবেন। মিডিয়ার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কানে কানে যেন পৌঁছে যায় অসহায় মজলুমদের কথা।
রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা আলেমদের সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হোক
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আলেমদের যৌথ কমিটি দরকার