কাউসার লাবীব: ২১ ডিসেম্বর “মানবতার নবী হজরত মুহাম্মদ সা.। রোহিঙ্গা সঙ্কট: সঙ্কটে বাংলাদেশ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বিশিষ্ট লেখক ও আলেম মাওলানা রুহুল আমিন সাদী বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ও চলতে থাকা মিয়ানমারে মানবধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যা বাংলাদেশ, বিশ্ব ও বিশ্ব মানবতার জন্য এক সঙ্কটপূর্ণ অধ্যায়।
ওলামায়ে কেরাম এ সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে বাস্তুহারা মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা হলেও বিশ্ব মানবতার সম্মান রক্ষা করেছেন। যার জন্য তারা বিশেষভাবে বিশ্ব মানবতার কাছ থেকে ধন্যবাদ ও সম্মানা দাবি রাখে।
আজকের এ বিংশ শতাব্দীতে এসে গণহত্যা করা সম্ভব হলেও এতো সহজে পার পাওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এই গণহত্যার চিত্র ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। পারলে তারা এভাবে মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারতো না।
আমরা যদি হিটলারের ইহুদি নিধন বা হলোকাস্ট’র দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো। ইহুদিরা তাদের ওপর চলা নির্যাতনকে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তুলে ধরেছে।
আপনি যদি ইংরেজি ১০০ টা উপন্যাস পড়েন, তাহলে তার প্রায় ১০/১৫ টায় পাবেন ‘হলোকাস্টের’ নির্মম বর্ণনা। যারা উপন্যাস পড়ে থাকেন, অথচ ‘আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’ পড়েননি, এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আপনারা তাতে দেখেছেন, কীভাবে ‘হলোকাস্টের’ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
যারা যারা মুভি দেখেন, তারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন। তাদের ১০০ টা মুভির প্রায় ৭/৮ টা মুভিতে তারা হিটলারের হত্যাযজ্ঞ তুলে ধরে।
যার যার ফল হিসেবে, আপনি এখন বিশ্বের যে প্রান্তেই যান না কেন? দেখতে পাবেন, “হিটলারের নাম কেউ ভালোভাবে উচ্চারণ করে না। তাকে ইহুদি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে নরখাদকও বলা হয়।”
এটাই ইহুদিদের সফলতা। তারা তাদের বিষয়টি বিশ্ব দরবারে তাদের মতো করে তুলে ধরতে পেরেছে। আমরা পারিনি।
তবে আওয়ার ইসলামকে ধন্যবাদ, তারা তাদের জায়গা থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে এবং করছে মিয়ানমারের এ মানবনিধনের নির্মম চিত্র তুলে ধরার জন্য। আর তারা এ ক্ষেত্রে অনেকটাই সফল হয়েছে এবং হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে আমরা যদি আওয়ার ইসলামের পাশে পুরোপুরিভাবে থাকতাম, তাহলে তারা আরও প্রাণবন্তভাবে এ কাজটি করতে পারতেন।