হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সরকারের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী৷
বিপদগ্রস্ত এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি বিদেশি দাতা সংস্থা নানা প্রকারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে৷ দেশের উলামায়ে কেরামও এ কাজে অংশগ্রহণ করেন ব্যাপকভাবে৷
সারাদেশ থেকে উলামায়ে কেরাম ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন৷ বিশেষত রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসার পাশাপাশি তারা দীনি পরিবেশের প্রতি মনোনিবেশ করেন৷ সে মতে ক্যাম্পগুলোতে শত শত মসজিদ, মকতব মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন তারা৷
বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামের অবদান দেশজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ কিছু সংগঠন এবং ব্যক্তির কাজ স্মরণীয় হয়েছে সবার মাঝে৷ তাঁদের কাজ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তেমনই একজন বাংলাদেশের খ্যাতিমান ওয়ায়েজ, লেখক-গবেষক, ঢাকার মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ৷ তিনি কাজ করেছেন অত্যন্ত গোছালো ও পরিকল্পিতভাবে৷
রোহিঙ্গা শিবিরে তার প্রতিষ্ঠিত তাকওয়া কমপ্লেক্স একটি উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, তিনটি মসজিদ, দুইটি মাদরাসা, একটি প্রধমিক বিদ্যালয় ও দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র৷
রোহিঙ্গা শিবিরের সেবামূলক কাজগুলো এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে নিয়মিত কাজের তদারকি করছেন৷
তার এই বিশেষ অবদানের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর ‘মাদরাসাতুত তাকওয়া গাজীপুর’ মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে তাকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে৷
ক্রেস্ট গ্রহণ বিষয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘ক্রেস্ট বা সম্মাননার জন্য কেউ কাজ করে না৷ আর রোহিঙ্গা শিবিরের কাজ তো একান্তই মানবতার সেবার জন্য করা হয়েছে৷ সামান্য ক্রেস্টের জন্য কেউ কেউ দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করবে এটা হতেই পারে না৷
তবে সাময়িক সম্মাননা মানুষকে আরো বেশি বেশি কাজ করতে উৎসাহ যোগায়৷ আমি মনে করি সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে আমার ওপর মানবিক দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো৷’
জানা গেছে, তিনি ছাড়াও মাহফিলে আরো ৪ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়৷ তারা হলেন, বয়ান ও লেখালেখিসহ দীনের বহুমুখী খেদমতে অবদান রাখায় ড. আফম খালিদ হোসাইন, একাধারে পাঁচবছর তাফসীর মাহফিলের সভাপতি ও মাদরাসায় অবদান রাখায় আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা নাসির উদ্দীন ও মাদরাসার শুরু লগ্ন থেকে প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালনকারী মুফতী মোখতার হোসাইন সিদ্দীকি৷