শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

হৃদয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বাসে কাতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের বিজয় দিবস ও কাতারের জাতীয় দিবস ২০১৭ উপলক্ষে আল নূর কালচারাল সেন্টার কর্তৃক আলোচনা সভা ও শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “হৃদয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বাসে কাতার”। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফানার ভবনে অধ্যাপক এ. কে. এম. আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী মুনিরুল হকের পরিচালনায় উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন আল নূর সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর।

প্রধান আলোচক ছিলেন আইইবি কাতার শাখার চেয়ারম্যান ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াজুল হাসান , আল নূর সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

আলোচনায় অংশনেন কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুশাহিদুর রহমান, আলনূর সমাজ কল্যাণ পরিচালক পেয়ার মুহাম্মদ ও অর্থ সম্পাদক সালেহ নূরন্নবী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলোয়াত করেন রমজান হোসেন।

মহিলা কর্নার ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পরিচালনায় ছিলেন মাওলানা মাহমুদা, ফেরদৌসি পেয়ার, হেনা পারভিন ও লুৎফর নাহার।

মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, বাংলাদেশকে আমরা হৃদয়ে লালন করি আর কাতারের সাথে রয়েছে আমাদের বিশ্বাসের সম্পর্ক। বাংলাদেশ আমাদের দিয়েছে পরিচয় আর কাতার দিয়েছে ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ। তাই উভয় দেশের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সকল নবী রাসূল ছিলেন মুক্তিকামী জনগণের কান্ডারী ওস্বাধীনতার অতন্দ্র সেনানী। মুহাম্মদ সা. ও অন্যান্য নবীদের মহান সংগ্রাম আমাদের প্রতিরোধ চেতনাকে শানিত করে আর অসত্যের বিরুদ্ধে লড়তে অনুপ্রাণিত করে।

প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য বিষয়ে সারগর্ভ বক্তব্য প্রদান করেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনার ক্ষেত্রে দলীয় সংকীর্নতা পরিহার করতে হবে। আমরা বীরের জাতি, থাকব চির উন্নত মমশীর। বাংগালী জাতির সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন যে কোন তৎপরতা থেকে দূরে থাকা সকলের কর্তব্য। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করা দরকার। দেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা কারো কল্যাণ বয়ে আনবে না।

বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াজুল হাসান বলেন, আমাদের অর্জন অনেক তবে এখনো অনেক কিছু করার বাকী আছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইস্পিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।

পেয়ার মুহাম্মদ বলেন, উন্নততর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কমিউনিটি গঠন সময়ের দাবী। ড. শামসুল আলম আলনূর কালচারাল সেন্টারর সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্মরণ করে বলেন, এ সেন্টারর কল্যাণে কাতারে আমি কুরআন ও ইসলাম শিক্ষার সুয়োগ পেয়েছি। মাওলানা মুশাহিদুর রহমান বলেন, দেশপ্রেমের বাণী প্রচারর জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রশংসনীয় তবে তার বাস্তব প্রয়োগ আরো জরুরি।

আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশের স্বীকৃতি পেলো কাতার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ