সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

কুলখানিতে নিহত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই হিন্দু ১ জন বৌদ্ধ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে নয়জনই হিন্দু এবং একজন বৌদ্ধ বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- ঝণ্টু দাস, সুবির, টিটু, লিটন দাস, প্রদীপ তালুকদার, কৃষ্ণপদ, সুজিত দাস, জোনাকি, দুলাল ও আশিষ বড়ুয়া।

এ ছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক। এর মধ্যে ১০-১২ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান রীমা কমিউনিটি সেন্টারে  আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিশৃংখলা ও হুড়াহুড়ির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে সিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না।

সবাই একযোগে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে কমিউনিটি সেন্টারের ঢালুতে পড়ে যায় কয়েকজন। তাদের ওপর দিয়ে অন্যরা চলে যায়। পদদলিত হয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি অনুষ্ঠানে এমন অনভিপ্রেত ঘটনায় অনেকটা হতভম্ব ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার (মহিউদ্দিন চৌধুরীর) বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি হতাহতদের দেখতে চমেক হাসপাতালে ছুটে যান। হতাহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানি উপলক্ষে নগরীর ১৪টি স্থানে মেজবানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে জামালখান এসএস খালেদ রোডে অবস্থিত রীমা কমিউনিটি সেন্টারে হিন্দু ও সংখ্যালঘু অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

দুপুর ১২টা থেকে ওই কমিউনিটি সেন্টারে মানুষকে খাওয়ানো শুরু হয়। কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম গেট দিয়ে প্রবেশ ও পূর্ব গেট দিয়ে বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

৭-৮ হাজার লোকের খাবারের আয়োজন করা হলেও সেখানে ১০-১৫ হাজার লোক অবস্থান করে। গেট খুলে দেয়া হলে সবাই হুড়াহুড়ি করে ঢোকার চেষ্টা করে। তাছাড়া প্রবেশ পথটি ছিল ঢালু। এ কারণে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনেকেই পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।

রীমা কমিউনিটি সেন্টারে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যুবলীগ নেতা শিবু দাশ যুগান্তরকে বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ যারা নন-বিফভোজী তাদের জন্য রীমা কমিউনিটি সেন্টারে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক জানান, আহত ২০-২৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরও ৩-৪ জন আশঙ্কাজনক বলেও চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান তিনি।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ