মাত্র ১৪ বছর বয়স ফাহিমার। জেডিসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে সে। কিন্তু পরিবারের সিদ্ধান্ত বিয়ে দিবে তাকে। কিন্তু এ বিয়েতে রাজি নয় সে। সে পড়তে চায় আরও।
অন্যদিকে পিতা-মাতা তার কথা শুনতে রাজি নয়। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকালো সে।
ফাহিমা দক্ষিণ মাদ্রাজ এরব হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার জেডিসি’র ফল প্রত্যাশী এবং হাজারীগঞ্জ ১নং ওয়ার্ডের আবদুর রব এর মেয়ে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দিন ধার্য থাকলেও ফাহিমার প্রতিবাদের কারণে ভেস্তে গেছে অসম এই বিয়ে।
শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য বিষয়টি জানতে পেরে ঐ ছাত্রী মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. সামসুদ্দিনের সহায়তায় বিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আবেদনসহ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়।
দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন এবং সমাজ সেবা অফিসার উপন্যাস চন্দ্র দাস থানা পুলিশসহ কনের বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে তাদের বাড়ি গিয়ে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করলে ছাত্রীর মা তাছনুর বেগম মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুছলেকা দিয়েছেন।