সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকায় মেয়রকে ধাওয়া!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার না করায় স্থানীয় মেয়রের ওপর চড়াও হন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে মেয়র নিজের কার্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।

মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র মো. শহীদুল ইসলাম বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মুক্তাগাছা পৌরসভা ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকালে পৌরসভার উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শিশুদের কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলের বিজয় মঞ্চে বিজয় দিবসের একটি ব্যানার করা হলেও ওই ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল না।

অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার না করার বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে মুক্তাগাছা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাই আকন্দ বর্তমান মেয়রের কাছে জানতে চান, কেন অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করা হয়নি। এ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মেয়রের ওপর চড়াও হন। পরে মেয়র নিজের কার্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। ঘটনার সময় অনুষ্ঠানস্থলের কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার পর মুক্তাগাছা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল হাই আকন্দসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হাই আকন্দ অভিযোগ করেন, ‘ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি না থাকার কারণ জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন যে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করা হলে জিয়াউর রহমানের ছবিও ব্যবহার করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের তিনি ঘোষক ছিলেন।’ এ কথা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার শামিল। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

জানতে চাইলে আবদুল হাই আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে বর্তমান মেয়র শহীদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।’

অভিযোগের জবাবে বর্তমান মেয়র শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতি বছর মুক্তাগাছা পৌরসভার উদ্যোগে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। কোনো বছরই ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকে না। এর আগে আওয়ামী লীগের মেয়র আবদুল হাই আকন্দের সময়ের ব্যানারেও বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল না।

আমি মেয়র হওয়ার পর গত দুই বছরও আগের মেয়রের সময়ের ব্যানারের অনুকরণে ব্যানার তৈরি করে (বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া) বিজয় দিবস পালন করেছি। এ বছর হঠাৎ করেই বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই—এমন অজুহাতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে আমি নিজের কার্যালয়ে ফিরে যাই। আমি বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করিনি।’

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ