ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হচ্ছে শেখ হাসিনার নামে বিশেষ সড়ক। জেলা সদরের সাথে বিজয়নগর উপজেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপনে তৈরি হচ্ছে সড়কটি।
বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিজয়নগর উপজেলার ভাটি এলাকা বলে পরিচিত পত্তন ইউনিয়ন ও চর ইসলামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পাশ দিয়ে সড়কে মাটি ফেলার কাজ চলছে পুরোদমে।
ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা সড়কের ৮ কিলোমিটার সড়কে মাটি ফেলার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সড়কের মাটি ফেলার কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
তারপর শুরু হবে সড়কের গাইডওয়াল, ব্লক স্থান ও তিনটি ব্রীজ নির্মানের কাজ।
সড়কটি নির্মিত হলে বিজয়নগর উপজেলাবাসী প্রায় ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে পারবে।
বর্তমানে বিজয়নগর উপজেলাবাসী প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে আখাউড়া উপজেলার উপর দিয়ে অথবা প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে সরাইল উপজেলার উপর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টানমনিপাড়া (পত্তন শিবির) এলাকায় সড়কের মাটি ভরাট কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সড়কের মাটি কাটার কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ডলি কনস্ট্রাকশন’ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এর নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছে।
সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করায় স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়নগরবাসী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনা সড়কটি বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প।
তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে সড়কে মাটি ফেলার কাজ শেষ হবে। তারপর শুরু হবে সড়কের পাশে গাইড ওয়াল ও ব্লক বসানোর কাজ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কে তিনটি ব্রীজের প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ব্রীজ নির্মাণ কাজের টেন্ডার হবে। তিনি সড়কের গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।