হামিম আরিফ: কথা ছিল নতুন জীবনে পা রাখার, কিন্তু অন্তিম গন্তব্যেই চলে যেতে হলো হাফেজ মাওলানা জামিল হোসাইনকে। সবাইকে কাদিয়ে ঠিক বিয়ের দিনই ইন্তেকাল হলো তার। থেমে গেল জীবন প্রদীপ।
কারী মাওলানা জামিল হোসাইন সিলেটের চতুল এলাকার বাসিন্দা। একজন সমাজ ও রাজনীতি সচেতন আলেম ছিলেন।
জানা যায়, গত সপ্তাহে মাওলানা জামিল হোসাইন বিয়ের জন্য কেনাকাটা করতে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইন্তেকাল করেন৷ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন৷
কারী মাওলানা জামিল হোসাইন সিলেটের কানাইঘাট থানার হারাতৈল গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে। সিলেটের জৈন্তাপুরের সরুখেল গ্রামের আলহাজ রহিম উদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আকতার সাদিকার সঙ্গে আজ তার বিয়ে তারিখ ছিল।
মাওলানা জামিল হোসাইনের ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী হারুন রশিদ নামের একজন ১০ ডিসেম্বর ফেসবুকে লেখেন, মাওলানা জামিল হোসাইন চতুলী একজন সম্ভাবনাময়ী তরুণ আলেমে দীন। যোগ্যতা, মেধা ও আচার-ব্যবহারে একজন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব।
যে ভাইটি চতুল বাজার গেলে বড় করে ভাই সাহেব ডাকতো সেই ভাইটি অাজ অনেক দিন থেকে মটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করে এখনো জ্ঞান ফিরেনি। ভাইটির কথা স্মরণ হলে চোখের পানি চলে অাসে। তার ব্যবহার অাচার অাচরণ সব সময় মনে পড়ে।
ভাইটি আজ মৃত্যর বিছানায় শুয়ে অাছে। ১১ ডিসেম্বর তার বিয়ের তারিখ। সেই দিন অনেক আনন্দ করার কথা ছিল ভাইটির। কিন্তু সে আনন্দ করা হবে কিনা মহান অাল্লাহ পাক জানেন।
৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের সাবেক ছাত্র জমিয়তের সভাপতি ছিলেন তিনি। অামাদের এলাকার এক মাদরাসার উস্তাদ ও মসজিদের ইমামও ছিলেন। মহান অাল্লাহ পাক এই ভাইকে শিফায়ে অাজিলা দান করুন। অামিন।
মুহাম্মাদ নামের সংক্ষেপণ বা এব্রিবিয়েশন করা কি উচিত?