আওয়ার ইসলাম: অনেকের দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। অনেকের আবার চা না হলে যেন দিনই শুরু হতে চায় না। এজন্য দিনের শুরুতে এক কাপ চা লাগবেই।
সেই এক কাপ চা যদি দুধের হয় তাহলে কিছু সময়ের জন্য হলেও মনটা চনমনে হয়ে ওঠে। কিন্তু সেটা শরীরের কোনো উপকারই হয় না। আর যদি লাল চা খেতে পারেন তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
চিকিৎসকদের মতে, লাল চা তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে ক্লান্তি দূর করে এবং এর পাশপাশি হার্টের ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লাল চা তে থিয়োফিলাইন নামে একটি উপাদান থাকে। যা শরীরকে চাঙা রাখতে দারুণ কাজ করে।
এই প্রতিবেদনে লাল চায়ের উপকারিতা প্রসঙ্গে আরো বিস্তর আলোচনা করা হলো:
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
লাল চায়ে ক্যাফিনের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয়টি মস্তিষ্কে রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস কমে।
হার্ট চাঙা হয়ে ওঠে
লাল চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন হ্রাস করে
লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
লাল চা-তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ সহ এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
হাড়কে শক্তপোক্ত করে
লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
লাল চায়ে টেনিস নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ফলে সহজে কোনো রোগ ছুঁতে পারে না।
স্ট্রেস কমায়
লাল চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
প্রতিদিন লাল চা খেলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্যাস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সূত্র: ইন্টারনেট