রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

’মাদার অব হিউম্যানিটি’: আমাদের জন্য কিছুই করতে পারছেন না?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অনলাইন ডেস্ক: বছর চারেক আগের ঘটনা। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত তখন আনুমানিক দেড়টা। অসুস্থ শরীর নিয়ে রাজধানীর পল্লবীতে বড় ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি সেলিম রেজা পিন্টু। হঠাৎ করেই দরজায় কড়া নাড়ে কয়েকজন। দরজা খুলতেই তারা টেনে-হিঁচড়ে ধরে নিয়ে যায় পিন্টুকে।

এক এক করে কেটে গেছে চারটি বছর। দীর্ঘ এই সময়েও খোঁজ মেলেনি এই যুবকের। সে কি জীবিত আছে না মারা গেছে সেই চিন্তাই প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তার পরিবারকে। বড় দুই ভাই আগেই আলাদা হয়ে যাওয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মার দেখাশোনা পিন্টুই করতেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। রোববার পরিবর্তন ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান পিন্টুর বড় বোন রেহানা বানু মুন্নি।

মুন্নি বলেন, রাত দেড়টার দিকে সাদা পোশাকে ৭/৮ জন লোক ভাইয়ের বাসার দরজা নক করে বলে, ‘দরজা খোলেন, আমরা প্রশাসনের লোক।’ দরজা খুললে বলে, ‘পিন্টুকে নিয়ে আসেন। আমাদের কাছে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে।’ পিন্টুর গায়ে সেদিন খুব জ্বর ছিল। লুঙ্গি পরা অবস্থায়, খালি পায়ে টেনে-হিঁচড়ে তাকে ওরা ধরে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বড় ভাই ওদের পেছনে গেলে বলে আপনি চলে যান। আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেলেই আমরা তাকে ফেরত দিয়ে দেব। পরদিন আমরা ডিবিতে খোঁজ নেই। সেখান থেকে বলা হয়, তারা পিন্টুকে গ্রেফতার করেনি। তারপর আমরা পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যাই। সেখান থেকে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার আগে জিডি করা যাবে না।’

পিন্টুর বড় বোন বলেন, ‘পরদিন পাঁচ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে তারা নিখোঁজ হওয়ার একটা জিডি নেয়। জিডি করার পরও বিভিন্ন জায়গায় আমরা পিন্টুকে খুঁজতে থাকি। ডিবিতে যাই, র‍্যাবের কাছে যাই। তারা বলে দরখাস্ত করেন, সেটাও করি। সবাই এক কথাই বলে, আমরা কোন ক্লু পাচ্ছি না, দেখছি কী করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দুই বছর পার হওয়ার পর ২০১৫ সালে আমরা একটি মামলা করতে পল্লবী থানায় যাই। থানার ওসি মামলা নেয়নি। পরে আমরা কোর্টে গিয়ে মামলা করি। কোর্ট থেকে পল্লবী থানাকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পুলিশ চার্জশিটও দিয়েছে, এতটুকু ওরা স্বীকার করেছে যে হ্যাঁ গুমটা হয়েছে। তারা বলে, কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে যদি কোনো ক্লু মেলে মামলার অগ্রগতি হবে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে আছে।’

মুন্নি বলেন, ‘সিআইডি মামলাটির কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীই পারেন আমাদের সাহায্য করতে। তাই উনাকে বলতে চাই- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মাদার অব হিউম্যানিটি, আমাদের কান্না দেখুন। আপনি তো রোহিঙ্গাদেরও দেশে জায়গা দিয়েছেন, তাহলে আমাদের জন্য কি কিছুই করতে পারছেন না?। সুত্র: পরিবর্তন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ