সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

বিল পরিশোধ করতে না পারায় লাশ দেখতে দেয়া হলো না স্বজনদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলম: সাভারের এনাম হাসপাতালে বিল পরিশোধ করতে না পারায় মেয়ের লাশ দেখতে দেয়া হয়নি স্বজনদের। স্বজনদের দেখতে না দিয়েই লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত মুক্তা মনির (১৫) পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তা স্থানীয় অটোরিকশাচালক মো. মকসেদের কন্যা এবং স্থানীয় রহিমউদ্দিন স্কুলের ষষ্ট শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাভার এনাম মেডিকেলে নেয়া হয়। ভর্তির সময় তার রিকশাচালক বাবার কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আইসিইউতে রাখার নাম করে আরও ২০ টাকা জোরপূর্বক আদায় করে।

এ সময় ওষুধের বিল বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ওষুধের বিল পরিশোধ করার পর শুক্রবার দুপুরে স্বজনদের জানানো হয় মুক্তা মারা গেছে। এরপর স্বজনদের না জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তড়িঘড়ি করে লাশটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মুক্তার মা রেশমা বলেন, ধারদেনা করে ও আটো বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এনাম মেডিকেলে দিই। কিন্তু বৃহস্পতিরার রাত থেকে তাদের কাউকে মেয়েকে দেখতে দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, মেয়েটি ভুল চিকিৎসায় রাতেই মারা যায়। কিন্তু মেয়ে ভালো হয়ে যাবে বলে এনামের ডাক্তাররা শুধু টাকা নেন।

স্বজনরা তাকে দেখতে চাইলেও তাদের দেখতে দেয়া হয়নি। মৃত্যুর দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখনও স্বজনরা লাশ পায়নি। শনিবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই পড়ে আছে।

তবে লাশ গ্রহণকারী সাভার থানার কনস্টেবল গোলাম নবী জানান, রাতের মধ্যেই লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। পরে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সাভার মডেল থানার এস আই সুজায়াত জানান, এনাম মেডিকেল থেকে ডাক্তারি রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত মেয়েটি উকুন মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয় এনাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক বলেন, রোগীকে এক রাত আইসিইউতে রাখা হয়েছেলি তাই বিল ৩৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়।

স্বজনদের লাশ কেন দেখতে দেয়া হয়নি বা তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে- এ ধরনের প্রশ্ন করলে তিনি তেলেবেগুনে রেগে ওঠেন।

নিহতের ফুফু জানান, মেয়েটি ভুল চিকিৎসায় রাতেই মারা যায় কিন্তু আমাদের দেখা করতে না দিয়ে তারা টাকার জন্য লাশটি আইসিইউতে রেখে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে আর টাকা দিতে না পারায় এনাম কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডেকে আত্মহত্যার কেস বলে লাশ পুলিশে হস্তান্তর করে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ