শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হজযাত্রীর জন্য চালু হচ্ছে হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, থাকবে অ্যাপ কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮ ভারতীয় মুসলিমরা এখনই না জাগলে অধিকার নয়, পরিচয়ও হারাতে পারে

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আবারও প্রস্তাব পাশ হলো জাতিসংঘে। প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের নিন্দা ও তাদেরকে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল এ প্রস্তাব পাশ করেছে।

জেনেভায় সংস্থার এক বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রস্তাবটির পক্ষে ৩৩টি ভোট পড়ে। চীন ও ফিলিপাইনসহ তিনটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে আর ভারতসহ ৯টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ২টি দেশ ছিল অনুপস্থিত।

মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট সদস্য ৪৭টি।

‘মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক কাউন্সিলের ২৭তম বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি পাস হয়।

ভোট শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও সাংবাদিকদের একই তথ্য জানান।

অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

অধিবেশনে ভাষণে কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে ‘গণহত্যা’ সংঘটিত হয়েছে। মানবাধিকার নিশ্চিত না করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ‘অপরিপক্ব’ হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

১ম বারের মতো তিনি গণহত্যার কথা বলেছেন। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা বলায় মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী গণহত্যাকে সবচেয়ে বড় মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখা যায়। তবে আন্তর্জাতিক আইনে জাতিগত নিধনকে আলাদা কোনো অপরাধ হিসেবে স্বীকার করা হয়নি।

রাদ আল হুসেন বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের যা করা হয়েছে তাতে গণহত্যার যথেষ্ট নজির রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ঘরের ভেতর আটকে রেখে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কাছ থেকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

অধিবেশনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের এবারের দেশত্যাগ ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যার সঙ্গে তুলনীয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এখন আর দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়।

অধিবেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘আমাদের কিছু বন্ধু বলেছে বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি আর দ্বিপক্ষীয় বিষয় নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সব সময় দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি কিন্তু মিয়ানমার বিশেষ করে ২০০৫-এর পর থেকে কখনোই আগ্রহ দেখায়নি। আমরা বিশ্বাস করি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার প্রয়োজন আছে।’ গত মাসে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি সামগ্রিক সমাধানের একটি অংশ।’


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ