আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রন না করে প্রমান করেছেন নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ ।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারে হঠাৎ করে শুরু হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বিভিন্ন পন্যের দাম বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চারগুণ। এই অবস্থায় সরকার বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে নিজেদের ব্যর্থ প্রমাণ করেছে।
আজ ০৫ ডিসেম্বর’২০১৭ মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণেনের থানা ও মহানগরের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে পিয়াজ বিক্রি হতো ২০ টাকা কেজিতে তার দাম এখন ৯০ থেকে ১৩০ টাকা। সেইু সাথে চালের দাম ক্রমেই বাড়ছে এবং তা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করছে। সবজির দাম এখন গড়ে তিন থেকে চারগুণ বেড়েছে, মাছের বাজারেও পড়েছে মূল্যবৃদ্ধির কালো ছায়া।
নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকার পরেও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী তা যে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের আয়ের পুরোটাই চলে যাচ্ছে চাল ডাল শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে। অন্যদিকে সরকারের ব্যর্থ পররাষ্টনীতির কারনে বিদেশ থেকে সবজি আমদানি করে বাজার সামাল দেওয়ার পথও প্রায় বন্ধ।
যৌথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর সহ সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক এইচ এম সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, দফতর সম্পাদক জনাব ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব ইমদাদুল হক ফেরদাউস, আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খোকন, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মাদ আবুল হাসান প্রমূখ।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম আরো বলেন, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি হয়-এমন অভিযোগ আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেন কোনো অজুহাত বা কারণ দাঁড় না করাতে পারে, তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
আমরা মনে করি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পর সরকারি তৎপরতা চালিয়ে দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বরং আগাম ব্যবস্থা নিয়ে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ যাতে যৌক্তিক দাম দিয়ে ভোগ্যপণ্য ক্রয় করতে পারে, তা দেখভালের দায়িত্ব সরকারের। অহেতুক লাগামহীনভাবে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হবে, আর সরকার নীরবতা পালন করবে, এটা কাম্য নয়। আমরা চাই, নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম এখনই টেনে ধরা হোক।
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় রেখে অচিরেই সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমিয়ে সহনীয় করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সভায় দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বমুখী, বিদ্যুৎ এর মূল্য ও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ০৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়। নগর সভাপতি বিক্ষোভ মিছিল বাস্তবায়নে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
এসএস/