ইকবাল আজিজ,টেকনাফ প্রতিনিধি: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা জীবনের নিশ্চয়তার পাশাপাশি মাথাগোঁজার ঠাঁই এবং খাদ্য সামগ্রী পেলেও এখনো তাদের ভাগ্যে জোটেনি প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র।
প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতে কাঁপছে রোহিঙ্গারা। আঙ্গুন জ্বালিয়ে তাপ নেয়াই হয়ে উঠছে এখন শীত নিবারণের একমাত্র অবলম্বন।
প্রতিরাতে শীত যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে অসহায় মানুষগুলো। ফলে ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ-ব্যাধি। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এই শীতের রাতের দৃশ্য এটি। দু’চারজনের ঘরে থাকলেও, অধিকাংশের ঘরেই নেই শীত নিবারণের কম্বল। তাই দিনের বেলায় কুড়ানো লাকড়ির পরিত্যক্ত অংশ জ্বালিয়ে কোনরকমে শীত থেকে বাঁচার উপায় খোঁজার চেষ্টা অসহায় মানুষগুলোর। শীতবস্ত্রের বদলে আগুনই যেখানে শীত নিবারণের একমাত্র ভরসা, সেখানে মানবতা কেঁদে বেড়ায় নীরবে।
প্রতিটি রোহিঙ্গা শিবিরে লাখো মানুষের বাস। এসব ঝুপড়িতে কনকনে রাত পেরিয়ে যখন ভোরের সূর্য আলো ফেলে, তখন যেন প্রাণ ফিরে পায় শীতবস্ত্রহীন রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের ভেতরে ইদানীং বসেছে শীতবস্ত্রের বাজার। হাতে গোণা কিছু রোহিঙ্গা এসব শীতবস্ত্র কিনতে পারলেও বেশিরভাগের ভাগ্যে সান্ত্বনা শুধু দর কষাকষিতেই।
উল্লেখ্য, আগে থেকে আসা ৬ লক্ষাধিক ছাড়াও ২৫ আগস্টের পর থেকে নতুনভাবে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। যাদের ৯৫ শতাংশই হতদরিদ্র।
এসএস/