হামিম আরিফ: কুয়েতে অনুষ্ঠেয় গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বার্তা বিষয়টি জানিয়েছেন।
কুয়েত সিটিতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন। এতে কাতারের আমিরকেউ আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আর তিনি সেটি গ্রহণ করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের বিরুদ্ধে চার আরব দেশের অবরোধ আরোপের প্রায় ছয় মাস পর তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসতে যাচ্ছে কাতার।
অবশ্য কাতারের জিসিসি সম্মেলনে অংশ নেয়া নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে ইতোমধ্যে। কারণ বাহরাইনের এক নেতা হুমকি দিয়েছিলেন, কাতার যোগ দিলে তারা সম্মেলনে অংশ নেবেন না তিনি। তবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠা যাবে বলে মনে করছেন আরব নেতারা।
কাতারের রাজধানী দোহায় একটি ফোরামে দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে শেখ মুহাম্মদ বলেছেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেব আমি এবং শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন আমির।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, জিসিসি ব্যবস্থা সচল আছে।’
আরব উপদ্বীপের তেলসমৃদ্ধ ছয় দেশ বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট জিসিসি।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর একত্রে সন্ত্রাসে উসকানি ও সমর্থন এবং ইরানকে অবৈধভাবে সাহায্য করার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। এরপর আরব নেতাদের একসঙ্গে কোনো বৈঠকে দেখা যায়নি।
জিসিসি সম্মেলনে সবাই যোগ দিলে অবরোধের পর এটিই হবে সবার প্রথম সাক্ষাৎ। সবার সাক্ষাৎ হলে কাতার সৌদি কেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব মিটতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবাহ সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন। কারণ তিনি আশঙ্কা করছেন, এই সংকট জিইয়ে থাকলে জিসিসির রাজনীতি ধসে পড়তে পারে।
আরআর