শাহনূর শাহীন: একজন দুজন নয় তিনরজন শিক্ষার্থীকে যৌণ নিপিড়ন করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও স্বপদে বহাল রয়েছেন বরিশাল আগৈলঝাড়ার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফারুক ফকির।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর মামলা করা হলে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয়ে শিক্ষক ফারুক ফকিরকে। অভিযোগ রয়েছে অর্থের বিনিময়ে কলেজ গভর্নিং বডির কয়েক সদস্যকে ম্যানেজ করে ভিকটিমের পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। মামরা তুলে নেয়ার পর এবার বিচারের দাবিতে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী।
শিক্ষক ফারুক ফকিরের বিরুদ্ধে এর আগেও আরো একাধিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অপর এক শিক্ষার্থী ছাড়াও সাবেক এক প্রকৌশলীর মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটায় ধর্ষক ফারুক। প্রকৌশলীর মেয়েকে শ্লীলতাহানীর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছে মাফ চেয়ে নিস্তার পেলেও অপর এক শিক্ষার্থী মামলা করেও বিচার না পেয়ে এবার আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী হাওলাদার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমলা রানী মন্ডল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের মধ্যে অনেক ঘটনাই সত্য। অভিযোগ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় নৈতিকতা ও শৃংখলা পরিপন্থী এজেন্ডায় ফারুককে সতর্ক করে তার অভিভাবককে বিয়ের জন্য এক মাসের সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিয়ে না করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগৈলঝাড়ার ইউএনও আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, অভিযোগকারী তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। এছাড়াও তিনি ওই শিক্ষককে নজরদারীতে রাখতে অধ্যক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসএস/