আওয়ার ইসলম: কাতার আলনূর কালচারাল সেন্টারের উদ্যোগে গত ১লা ডিসেম্বর দোহার ফানার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয় “দুস্থ মানবতার
কল্যাণে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” শীর্ষক আলোচনা সভা।
সেন্টারের মহাপরিচালক প্রকৌশলী শোয়াইব কাশেমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর ও শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক
মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন গবেষণা বিভাগীয় পরিচালক অধ পক আমিনুল হক, অর্থ সম্পাদক সালেহ নূরুন্নবী, নির্বাহী সদস্য মাওলানা নুরুল আমিন, রাকিবুল ইসলাম, প্রকৌশলী মুনিরুল হক ও শের আলম প্রমুখ।
মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাসূল সা. ছিলেন মানবতার অগ্রদূত। সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের কল্যাণে আজীবন নিবেদিত মহানবী সা. সকল মানবতাবাদীর আদর্শ। নবুয়াত লাভের পূর্বেও তিনি ছিলেন একজন নিঃসার্থ সমাজকর্মী ও পরোপকারী মহাপুরুষ।
প্রথম ওহী নাযিলের পর আতংকিত হয়ে ঘরে ফিরে আসলে তার প্রিয় সহধর্মীনী হযরত খাদিজা রা. তাকে সান্তনা দিয়ে বলেছিলেন, ভয় পাবেন না, আপনার ন্যায় আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী, অসহায় শ্রেণীর অভিভাবক ও অতিথি পরায়ণ ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করবেন না।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, প্রিয় নবী সা. নির্যাতিত মুহাজির সম্পধদায় ও তাদের পাশে দাঁড়ানো আনসারদের কল্যাণের জন্য দোয়া করে সকলকে দুস্থ মানবতার সেবায় উদ্বুদ্ধ করে গেছেন।
নবীর প্রকৃত অনুসারী যারা তারা হবেন সমাজের পরম হিতৈষী ও দুঃখী মানুষদের আপনজন। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জাতি-ধর্ম ও দলমত নির্বিশেষে বিপন্ন মানবতার সেবায় তারা নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
মহানবীর সা. এর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে রচনা করেছে মানবতার এক নতুন ইতিহাস। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সাহায্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ঈমানের দাবী।
এইচ জে