মুহাম্মাদ মোশাররফ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
বিশ্বমুসলিমের শান্তি ও হেদায়াত কামনা করে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত দাওয়াত ও তাবলীগ জামাতের জেলাওয়ারি ইজতেমা।
আজ (২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বি বিশিষ্ট আলেমে দীন মাওলানা যুবায়ের আহমদের মুনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হয়।
মুনাজাত উপলক্ষে মুসল্লিদের ঢল নামে মেঘনাপাড়ের ইজতেমা প্রাঙ্গনে। কানায় কানায় ভরে যায় ইজতেমা মাঠ।
বৃহস্পতিবার চাঁদপুর পুরানবাজার ইমদাদিয়া মাদসা সংলগ্ন মেঘনার কুলে প্রায় ৪০ একর জমিতে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হয় জেলাভিত্তিক ইজতেমা।
ইজতেমা থেকে প্রায় ৯০টি জামাত বের হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা মারকাজ মসজিদের খতীব মাওলানা ইমদাদ।
উলামাদের নির্দেশিত পথে দাওয়াতের কাজ আরো বেগবান হবে: কাকরাইল শুরা মাওলানা ওমর ফারুক
কাকরাইলের মুরব্বি ও শূরা সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক বলেছেন, দাওয়াতুল হক ও তাবলিগ ভিন্ন কোন জিনিস নয়। দুই মেহনতের উদ্দেশ্য এক। আমরা দাওয়াতুল হকের ইজতিমায় আসতে পেরে আনন্দিত এবং গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য দীন ইসলামকে মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া। দীনের কাজে অনেক বাধা আসবে, সমস্যা সৃষ্টি হবে ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব সমস্যা দূর করে উম্মতকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
আজ শনিবার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীতে অনুষ্ঠিত মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৩ তম মারকাজি ইজতেমায় অংশ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ এসব কথা বলেন।
মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, তাবলিগের উপদেষ্টা হিসেবে আমরা পাঁচজন দূরদর্শী আলেমকে পেয়েছি। আমরা কাকরাইল থেকে তাঁদের স্বাগত জানাই। আমাদের বিশ্বাস তাদের নির্ভুল দিকনির্দেশনা ও সঠিক সিদ্ধান্ত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজকে আরো বেগবান করবে। আমরা ওলামায়ে কেরামকে সামনে রেখে, রাহবার বানিয়ে দীনের প্রতিটি সেক্টরে কাজ করতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত আছেন, কাকরাইলের শূরা সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস ও মাওলানা জাফর আহমদ, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহা পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।