আওয়ার ইসলাম: চাঁদা না দেওয়ায় চারটি দোকানঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিল সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও আরও ৭ দোকান পুড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে তারা।
সম্প্রতি নাটোরের সিংড়ায়র বিয়াশ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার কারণে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-৩ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি দোকান মালিক।
আদালতে বিচারক আসামীদের গ্রেফতারের আদেশ দিলেও অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সিংড়া উপজেলার বিয়াশ বাজারের চারমাথা মোড়ে আব্দুস সামাদের জায়গার ওপর চারটি দোকান ঘর বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো সেখানকার দোকানঘর মালিকরা। সম্প্রতি ছোরাব প্রামানিক নামের এক দোকান মালিকের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী আমির হামজা। কিন্তু দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১২ নভেম্বর সন্ত্রাসী আমির হামজার নেতৃত্বে ২৫/৩০জন সন্ত্রাসী দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে চারটি দোকান পুড়িয়ে দেয় তারা। এতে চারটি দোকানের আনুমানিক তিন লাখ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, এ ঘটনায় জমির মালিক সামাদ মৃধা এবং ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা সিংড়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-৩ আদালতে সন্ত্রাসী আমির হামজাসহ মোট ২৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ক্ষাতিগ্রস্থ দোকান মালিক ছোরাব প্রামাণিক। যার মামলা নং সিআর ৫০/১৭। পরে বিচারক ২৯জন আসামীকে গ্রেফতারের জন্য সিংড়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
জমির মালিক আব্দুস সামাদ মৃধা বলেন, আমার নামীয় জমি দখল নিতে সন্ত্রাসীরা দোকানঘর পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক ছোরাব প্রামানিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় এবং মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া মামলা তুলে না নিলে আমার বাকি আরো ৭টি দোকান ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও থানায় এখন পর্যন্ত সে আদেশ এসে পৌঁছায়নি। গ্রেফতারী পরোয়ানা আদালতে আসলেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।