হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মাজলুম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এক হাজার আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে৷
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের নিউ দিল্লির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে এক প্রেস রিলিজে আরো বলা হয়েছে, কেবল মুতোছোরা ক্যাম্পেই ১৬০টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে৷
জমিয়ত ত্রাণ টিমের অন্যতম সদস্য মাওলানা মাকনুন আহমদ জানিয়েছেন, অনেক শরণার্থী খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে৷ কনকনে শীতে তাদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন৷ মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে৷ আমরা অতিরিক্ত শেল্টার হোম নির্মাণের জন্য খুব শিগ্গিরই কাজ শুরু করবো৷
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর জমিয়ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানি একটি প্রতিনিধি দলসহ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন শেষে ত্রাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন৷ এরপর থেকে ‘ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ বাংলাদেশে’র তত্বাবধানে ত্রাণ কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে৷
এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৩ কোটি নগদ অর্থ, খাদ্য, তৈজষপত্র, শিশু খাদ্য, গরম কাপড় বিতরণ, ৫০০ টয়লেট+ গোসল খানা নির্মাণ, ১১০টি টিউবওয়েল, ১৫টি ডিপ টিউবওয়েলসহ নানাবিধ সেবামূলক কাজ আঞ্জাম দিয়েছে৷
মানবিক সেবার পাশাপাশি জমিয়ত দীনি খেদমতেও বেশ ভূমিকা রাখছে৷ এ পর্যন্ত ৪৫টি মসজিদ, ২০টি মকতব, ৫টি হিফজখানা ও ৬টি স্কুল নির্মাণ করেছে৷ যেখানে রোহিঙ্গা শিুশুরা নিয়মিত পড়াশুনা করছে৷
জমিয়তের পক্ষ থেকে কক্সবাজারে ২ সপ্তাহ অবস্থান করে ত্রাণ বিতরণকারী মাওলানা হাকিমুদ্দীন কাসেমী এবং মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ বলেছেন, মিয়ানমার সামরিক জান্তা কেবল সেখানকার মুসলমানদের ঘরবাড়ি উজাড় করেছে তাই নয় বরং হাজারও মকতব মাদরাসাও গুড়িয়ে দিয়েছে৷ শত শত ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে৷
যারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছে তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি ছিলো৷ জমিয়ত সে লক্ষ্যেই সুনির্দিষ্ট পরিকলেপনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে৷
উর্দু পয়েন্ট