মুহাম্মদ আশরাফ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘ বাংলাদেশে কোন আইএস নেই। আইএসের কথা বলে এদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চক্রান্ত করেছে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। হলি আর্টিজেন হামলার ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ইহুদি নারী দ্বারা পরিচালিত ওয়েব সাইট ।
এদেশের আলেম উলামা, মাদ্রাসার ছাত্র কোন জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জঙ্গী হামলার তথ্য বিশ্লেষণ করলে যাদের সম্পৃক্তা পাওয়া যায় তারা বিভিন্ন নামি দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র।’
‘জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ওলামা-মাশায়েখ ফোরাম শরীয়তপুর’ এর যৌথ উদ্যেগে আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার পুলিশ লাইন শরীয়তপুর এ জঙ্গীবাদ বিরোধী ওলামা-মাসায়েখ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসবকথা বলেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক জনাব এ.কে.এম শহীদুল হক বিপিএম।তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ ইহুদিদের একটি চক্রান্ত এদেরকে প্রতিরোধে সকল মুসলমানদের সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে সাহায্য করতে হবে।
অাজ দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৩ টায় শেষ হয়। উক্তসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জনাব সাইফুল আল মামুন পিপিএম, পুলিশ সুপার শরীয়তপুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর ০১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব বি.এম.মোজাম্মেল হক, ২৭ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, ঢাকা রেঞ্জের এডিশনাল আইজি জনাব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, জনাব বাবু অনল কুমার দে, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র, জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল প্রমুখ।
আলেমদের প্রতিনিধিত্ব করেন, শরীয়তপুরের ঐতিহাসিক ভোজেশ্বর জামে মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি শরীয়তপুর জেলার সাবেক সদর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শুরা কমিটির সদস্য জনাব হাফেজ মাওলানা শওকত আলী সাহেব। আরো উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের আংগারিয়ার ওসমানিয়া কওমিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম জনাব মাওলানা আবু বকর সাহেবসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম।