টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ইবনে আব্বাস রা. আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার জমি জবরদখল করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী এক ইয়াবা ব্যবসায়ী।
২৩ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। ইতিপুর্বেও উক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার মাদ্রাসাসহ পাশ্ববর্তী আরও কয়েকজনের জমি জবর দখল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকি এনিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছিল।
জানা যায়, মাদ্রাসার নামে ক্রয়কৃত জমি নিয়ে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মাদ্রাসার পক্ষে রায় দেন।
এ নিয়ে বর্তমানেও আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা এবং পুলিশের নিষেধ সত্বেও ক্ষীপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ২৩ নভেম্বর মাদ্রাসাসহ পাশ্ববর্তী আরও কয়েকজনের জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জবরদখলকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার জাহাঙ্গীর মোবাইল ফোনে লেদা ইবনে আব্বাস রা. আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ্ব মাওঃ ক্বারী শাকের আহমদকে অকথ্য ও বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসার নামে ক্রয় করে জমির উপর কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে নুরানী ভবন নির্মাণ, পুকুর খনন, মাটি ভরাট, কলা বাগান করার পর চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীর নজর পড়ে।
কোন দলিলপত্র ছাড়াই টাকা ও গায়ের জোরে মাদ্রাসার জমি জোরপুর্বক জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এদিকে ঘুর্ণিঝড় মোরার আঘাতে উক্ত মাদ্রাসার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে নব-নির্মিত নুরানী ভবন সম্পুর্ণ বিধ্বস্থ, গাছ ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে আবাসিক ছাত্রাবাস, শ্রেনী কক্ষ, কলা বাগানেরও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে নব-নির্মিত নুরানী ভবন সম্পুর্ণ বিধ্বস্থ হওয়ার পর ১ জুন চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সদলবলে জোরপুর্বক জবর দখল করতে মাদ্রাসার ক্রয়কৃত জমিতে খুটি দেয়।
মাদ্রাসার নামে কেনার আগে উক্ত জমি আরও একাধিক ব্যক্তি ভোগদখলে ছিল। তখন কিছু করেনি। বিধ্বস্থ নুরানী ভবন মেরামত করতে বাধা দেয়ার পাশাপাশি প্রকাশ্যে বিভিন্ন হুমকি ও হাঁকাবকা করে আসছিল বলে জানা গেছে। সূত্র-টেকনাফ নিউজ