আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের প্রধান সৎ প্রেসিডেন্ট জার্মানির এঙ্গেলা মেরকেল। এ তালিকায় তৃতীয়তে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস নামের একটি সংস্থা সম্প্রতি এ জরিপ করেছে। তারা বিশ্বের পাঁচজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই।
এদিকে বিশ্ব রাজনীতিতে যাদের সবচেয়ে বেশি সৎ ভাবা হতো, যাদের অনুকরণীয় মনে করা হতো তাদের অনেকেই কলঙ্কিত হয়েছেন। যা ইতোপূর্বে পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারস নামের দুটি তথ্য ফাঁসে উঠে এসেছে।
বিশ্বের সৎ নেতৃত্ব খুঁজতে ৫টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এ পাঁচ প্রশ্নের আলোকে বাছাই করা হয়েছে ৫ জন নেতৃত্ব। তালিকার বাকি তিন জন হলেন, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তাঁর রাষ্ট্রের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হবার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তাঁর সম্পর্কে কী ভাবেন?
এই ৫টি উত্তর নিয়ে পিপলস অ্যান্ড পরিটিক্স ১৭৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে।
এই গবেষণায় সংস্থাটি এ রকম মাত্র ১৭ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যাঁরা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকারপ্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ৫টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং ৮৮ পেয়ে সৎ সরকারপ্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকারপ্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যন্ড পলিটিক্স।
এছাড়াও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধ্বে। তবে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সংস্থাটির গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।