হাওলাদার জহিরুল ইসলাম
সহ সম্পাদক
১৯৭৯ সালে খোমেনি আন্দোলনের পর থেকে সৌদি-ইরান দ্বন্দ্ব লেগেই আছে৷ বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷
বিবিসি বলছে, অধিকাংশ সময় ইরানের মদদপুষ্ট ইয়েনের হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি রাজধানি রিয়াদের দিকে মিসাইল ছুঁড়ে আসছে৷ যা সৌদি বাহিনী আকাশেই নষ্ট করে দিতে সক্ষম হচ্ছে৷ তবে যদি রিয়াদে একটিও সফল মিসাইল হামলা হয় তাহলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে৷
সৌদি-ইরানের স্থলপথে পারস্পরিক বর্ডার না থাকায় তাদের যুদ্ধ করতে হবে সমুদ্র অঞ্চলে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সৌদি-ইরান সমুদ্র অঞ্চলে যুদ্ধে লিপ্ত হয় তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পুরো বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে৷
শুধু তাই নয়, ওই সমুদ্র বিশ্বে তেল সরবরাহের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় আমেরিকাও তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে৷ যুদ্ধের ফলে তেল সরবহারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে৷
যদি দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনা করা হয় তাহলে নিম্নের চিত্রটিই দেখা যাবে৷
সৌদি সৈন্য ও অস্ত্র
সৈন্য: ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০
ট্যাঙ্ক : ৯০০
নতুন যুদ্ধ বিমান: ৩৩৮
টাইফুন জেট: ৬৪টি
পেট্রলিঙ্গ জাহাজ: ১১
ইরানের সৈন্য ও অস্ত্র হলো
সৈন্য: ৫লাখ ৬৩ হাজার
ট্যাঙ্ক: ১ হাজার ৫১৩
নতুন যুদ্ধ বিমান: ৩৩৬
টাইফুন জেট: নেই
পেট্রলিঙ্গ জাহাজ: ১৯৪
এ হিসেব মতে দেখা যায় শুধু বিমান ছাড়া সব ক্ষেত্রে ইরান এগিয়ে আছে। এছাড়াও বেশ কিছু দিক থেকে সৌদি থেকে ইরান এগিয়ে আছে৷ ফলে যুদ্ধে ইরানের সাথে হেরে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে সৌদির। তবে মিত্রশক্তির সহযোগিতা পেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
নবীজিকে কতটা ভালোবাসেন? লিখুন, জানবে বিশ্ব