শফিক রহমান
আওয়ার ইসলাম
প্রতি বছরের মতো এবারও নবান্নকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। বিভিন্ন এলাকার লোকজনের ব্যাপক সমাগম হয়েছে এতে।
মেলা উপলক্ষে আশপাশের ৩০ গ্রামে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। গৃহস্থ ঘরে নাইওর এসেছে নববধু আর মেয়েজামাই। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যবারের মতো এবারও মেলায় উঠেছে নদীতে ধরা হরেক প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ।
১৬ কেজি ওজনের এই ব্রিগেড মাছটি ঘিরে উৎসুক জনতার ব্যাপক কৌতুহল। বগুড়ার কাহালু বাজারে এমন বড় আকারের আরো কিছু মাছ নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের।
মেলায় দেখা গেছে, এবারও উঠেছে নদীর বাগাড়, পাঙাস, চিতল, কাতল, সিলভার কার্পসহ বড়বড় মাছ।
নবান্ন উপলক্ষ্যে মেলায় মাছ আসতে শুরু করে মধ্যরাত থেকে। মাছের পাশাপাশি দই-চিড়াসহ দেশি নানা পণ্যের সমাহার, মেলায় যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।
বগুড়ার কাহালু বাজারে প্রায় ৫০ বছর আগে এ মেলায় আয়োজন করেন কিছু সংস্কৃতিমনা মানুষ। আর কড়িরহাটে চলছে ২০ বছর ধরে।
এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, প্রায় দেড়শ' বছর আগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে ইছামতি নদীর শাখা (খাল) সংলগ্ন পোড়াদহ নামক স্থানে একটি বটবৃক্ষ তলে আয়োজন করা হতো সন্ন্যাসী মেলা।
প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ অথবা ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার অনুষ্ঠিত এই মেলা কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে পূর্ব বগুড়াবাসীর মিলনমেলায় ।
নদী তীরবর্তী স্থানে এই মেলায় দিনকে দিন নানা প্রজাতির মাছের আমদানি হতে শুরু করে। এক সময় তা এই অঞ্চলে মাছের মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ধুনটসহ আরও কয়েকটি এলাকায় নবান্নর উৎসব চলছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।
আরএম