আওয়ার ইসলাম: নেশার টাকা না পেয়ে এক মাদকাসক্ত তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নরসিংদী সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া গ্রামের দেলোয়ার সওদাগরের বাড়িতে সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, কবির হোসেন পেশায় একজন রিকশাচালক। সে দীর্ঘ দিন ধরে ওই বাড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন। স্ত্রী হাফেজা বেগম ছিলেন একজন অন্ধ নারী। তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করে বেড়াতেন।
এদিকে কবির প্রতিদিন নেশা করতেন। ঘটনার দিন তিনি রিকশা নিয়ে বের হননি। সারা দিন বাড়িতেই ছিলেন। রাতে হাফেজা ভিক্ষা করে কিছু টাকা নিয়ে ঘরে ফিরেন।কবির নেশা করার জন্য তার কাছে টাকা দাবি করেন।
হাফেজা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়ার বাঁধে। এক পর্যায়ে কবির হোসেন উত্তেজিত হয়ে বটি দিয়ে প্রথমে হাফেজাকে এবং পরে তার কন্যা সাদিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পরদিন মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির অন্যান্য লোকেরা কবির হোসেনের কাছে গেটের চাবি আনতে গেলে অনেক ডাকাডাকির পরও তার কোন উত্তর না পেয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিলে তা খুলে যায়। পরে হাফেজা ও সাদিয়া বেগমের লাশ দেখতে পায় তারা।
বিষয়টি নরসিংদী সদর থানা পুলিশকে অবহিত করার পর এসআই তাপন কান্ত রায় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান এবং সেখান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যান।
উল্লেখ, কবির হোসেনের বড় মেয়ে শামীমা বেগম (১২) বানিয়াছল জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করত। ঘটনার দিন শামীমা বাড়িতে ছিল না। কবির হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বানঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড্ডা গ্রামে বলে জানা গেছে।
হাফেজা বেগমের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া গ্রামে। এ ব্যাপারে হাফেজার বাবা রমজান আলী বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।