হামিম আরিফ
বিশেষ প্রতিবেদক
তাবলীগ জামাতের কাকরাইল মারকাজ মসজিদে আজ সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শূরা কমিটি। আসন্ন জোড় ইজতেমার খিত্তা বণ্টন নিয়ে সাময়িক যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল কাকরাইলের মুরব্বিগণ তা নিরসন করেছেন। কাকরাইলের পরিস্থিতিও আগের মতো স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে ৫ দিনের জোড় নিয়ে যে ঘটনা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল তা নিরসনে দুপুরে বৈঠকে বসেন তাবলীগের শূরার সদস্যগণ। বৈঠকে ঢাকা জেলার ডিসি ও রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসিও ছিলেন।
জানা যায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবার মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে ৬টি বিষয়ে অঙ্গীকার করেন শূরার সদস্যগণ।
অঙ্গীকার নামায় বলা হয়, আমরা শূরার সদস্য ৮ জন আজ ১৪/১১/২০১৭ তারিখ দুপুর ২ টায় কাকরাইল মসজিদের মিটিংয়ে একমত হলাম যে-
১। ভবিষ্যতে কাকরাইল মসজিদের যে কোনো সভায় শূরার সদস্যদের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ সদস্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং তারাই শুধুমাত্র সভায় উপস্থিত হবেন।
২। অন্য যেকোন বিষয়ও তিনভাগের দুই ভাগ সদস্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সে সিদ্ধান্তই বলবৎ হবে।
৩। মাদরাসার ছাত্ররা উত্তরভাগ ব্যতীত দক্ষিণভাগে আসবেন না। ছাত্রদের পড়ানোর বিষয়টি শিক্ষকরা উত্তরভাগে গিয়ে সম্পাদন করবেন।
৪। সম্প্রতি যে বিষয় নিয়ে মতদৈন্যতা সৃষ্টি হয়েছে সে সব বিষয়ে তিনভাগের দুইভাগ শূরা সদস্য যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সেটাই কার্যকর হবে।
৫। তাবলীগের কার্যক্রমে কেউ কোন অস্ত্র নিয়ে আসতে পারবেন না। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথি আগমণের বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন, মাওলানা জোবায়ের আহমদ, ওয়াসিফুর রহমান, মাওলানা রবিউল হক, মো. মোবরক, শাহাবউদ্দীন নাসিম, মোহাম্মদ হোছাইন, মাওলানা ওমর ফারুক।
কাকরাইলে হঠাৎ উত্তেজনা; পরিবেশ শান্ত, চলছে বৈঠক