আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
কর্মচার ও কর্মকর্তাদের নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে আলফা ডোর এন্ড ফার্নিচার লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। ফেসবুকে সেই নোটিশ ভাইরাল হয় এবং অসংখ্য এক্টিভিস্ট কোম্পানিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
সম্প্রতি নামাজের জন্য কর্মচারীদের অবকাশ দিতে কারখানার কাজ বন্ধ রাখারও ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জারি করা এক নোটিশে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রকাশিত নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে সকলের জন্য নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার নির্দেশ দেয়া হলো। জোহর থেকে এশা পর্যন্ত সব নামাজের জামাতের ১০ মিনিট আগে সকলে কাজ বন্ধ করে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাবে।
নামাজের সময় কোনো পার্টি বা কাস্টমার আসলে তাদের বসতে বলা হবে অথবা নামাজ আদায়ের তাগাদা দেয়া হবে।
প্রত্যেক মাসে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
নামাজে উদ্বুদ্ধ করার এমন অভিনব উদ্যোগ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির সত্ত্বাধাকারী কে এম এমদাদ হোসেন বাদল আওয়ার ইসলামকে বলেন, আল হামদুলিল্লাহ! আমার কারখানার অধিকাংশ শ্রমিক আগ থেকেই নামাজ আদায় করতো। কিন্তু কোনো শৃঙ্খলা না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছিলো।
তিনি বলেন, সবাই ইচ্ছে মতো যেতো এবং আসতো, কেউ কেউ নামাজের কথা বলে বাইরে যেয়ে আড্ডা দিতো ইত্যাদি। যেহেতু অধিকাংশই নামাজে অংশগ্রহণ করে তাই ভাবলাম নামাজের জন্য তাদের সুযোগ করে দেই।
প্রত্যেক নামাজে সময় দিলে ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা মনে করি না। ব্যবসায়িক সাফল্য তো আল্লাহর হাতে। তিনি ইচ্ছে করলে বরকতও দিতে পারেন। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর বিরতি পেলে কর্মচারীদের কাজে উদ্যম বৃদ্ধি পায়।
তিনি জানান, ‘কোনো কর্মচারী এ পর্যন্ত তার কাছে এ বিষয়ে আপত্তি জানায় নি। আমি কাউকে বাধ্য করছি না। আমি তাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য নিয়ম করেছি, পুরস্কার ঘোষণা করেছি। তাতে সবাই খুশি। অধিকাংশই আগে থেকে নামাজ আদায় করতো। এখন নিয়ম করায় সবাই নামাজে অংশ নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, আলফা ডোর এন্ড ফার্নিচারের প্রধান অফিস রাজধানীর বাড্ডায়। দরজা ও ফার্নিচার তৈরির কাজ করে থাকে কোম্পানিটি।