আওয়ার ইসলাম : নাটোরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) হাসানুজ্জামান এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৩ শে জানুয়ারি বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামরুজ্জামান তার মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ মামলার একমাত্র আসামি কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক
মামলা হলে উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি নাটোরের শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে বিচারে আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক হাসানুজ্জামান আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণাকালে আদালত ঘটনাটিকে জঘন্য ও বর্বরোচিত বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এটাকে সমাজের চরম অবক্ষয় বলেও মন্তব্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় ছিলেন। রায়ের পর তাকে নাটোর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসলী একেএম শাহাজাহান কবির সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামি পৈশাচিক অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে দেয়া দণ্ডাদেশ সমাজে নীতিনৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত, প্রমাণিত হয় নি। তার মক্কেল রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবেন।
আরএম