আওয়ার ইসলাম : যশোরের এমএম কলেজের দক্ষিণ গেট এলাকার একটি ছাত্রী মেস থেকে অর্ধশতাধিক বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এখনো পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
এর আগে, গত মাসের শেষের দিকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে গ্রেনেডের ৩০টি খোল, ৫০টি সুইচ, পিস্তলের দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, বোমা তৈরির জেল ও ১০ লিটার রাসায়নিক, আধাকেজি পেরেকে, চারটি ছোরাসহ বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, গত বছরের ১ অক্টোবর যশোরের চৌগাছায় বোমা তৈরি করার সময় বিস্ফোরিত হয়ে মিন্টু (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। তিনি উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের পাতিবিলা গ্রামের কবীর হোসেনের ছেলে। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন ১১ টার দিকে মিন্টু ও তার ভাই রকিব নিজেদের বাড়িতে ঘরের মধ্যে বসে বোমা তৈরী করছিল। এ সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরিত হয়ে গেলে তারা দুই ভাই আহত হয়। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ মিন্টু ও রাকিবকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মিন্টুকে আটক করা হয়েছে। রাকিবকে আটক করা হয়নি।
এলাকার বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মিন্টু ও রাকিব বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করে।
আরএম