এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্টগ্রাম
প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফটিকছড়ি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
এতে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে হারিয়ে বিশাল ভোটের ব্যাবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেন দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তার সর্বমোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১২ হাজার ৭২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭ হাজার ৪ শত ৪৮।
নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ১ শত ৪৫। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ৯ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত মহিলা পদে ২ জন মহিলা নির্বাচিত হয়েছেন।
দলীয় প্রতীকে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ নির্বাচনে জাতীয় ধাচের আমেজ ছিলো। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ১৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে, ফটিকছড়ি ডিগ্রী কলেজ, ফটিকছড়ি বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ধুরুং আঁতুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর ধুরুং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাল মাঝি পাড়া জনকল্যাণ সমিতি ভোট কেন্দ্র, কে.এম টেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয, দ.রাঙ্গামাটিয়য়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পালপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের র্দীঘ লাইন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এসেছেন। তবে, কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতিকের সমর্থকরা পরষ্পর পরষ্পরের বিরুদ্ধে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ তুলেন।
অপরদিকে, লেলাং রাঙ্গামাটিয়া আনোয়ারুল উলুম মাদরাসা জাল ভোট প্রদানের চেষ্টাকালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ২ জন নারীকে আটক করে। দুপুরে জুবলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে কিছু যুবক জাল ভোট প্রদানের চেষ্টা করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সকাল ১০.২০ মিনিটে লাল মাঝি পাড়া জনকল্যাণ সমিতি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা শতবর্ষী মকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ছিল। র্নিবিঘ্নে ভোট দিয়েছি। জীবনের শেষ সময়ে এসে এমন ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।’
দুপুর ১২ টায় ধুরুং জব্বারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘সব দিক থেকে প্রশাসনের ভালো নজরদী ছিলো। কোন ধরনের গোলযোগ ছাড়াই ভোট দিয়েছি।’
দুপুর ২ টায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা চলছে খবর পেয়েছি।
তবে, প্রশাসনের কড়া নজরদারী ও শক্ত অবস্থান অাশা করি তা নিবৃত করবে।'
সাবেক বিচারপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী বলেন, 'অনভিজ্ঞ ও অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের নির্দেশনায় বিএনপি প্রার্থী ভোট কার্যক্রম পরিচালনা করায় ধানের শীষের পরাজয় ঘটেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসেন খান বলেন, 'অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্টানের জন্য কমিশন থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি ছিলো। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। '