এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
গতকাল শেষ হয়েছে ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণা। রাত পোহালেই শুরু হবে নির্বাচনী উৎসব।
৩০ অক্টোবর নির্বাচন নিয়ে এতোদিন দলীয় প্রতীকের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল হাট-বাজার, রাস্তাঘাট। চায়ের কাপে চুমুকের সাথে নির্বাচনী আড্ডা ছিল দোকানে দোকানে, ছিল নানান হিসাব নিকাশ ও সাধারণ ভোটারদের জরিপ।
তিন জন মেয়র পদপ্রার্থী থাকলে ও বেশ প্রচারণায় ছিল প্রধান দুই দলের প্রার্থী। সাথে প্রচারণায় নামে দু'দলের স্থানীয়, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন রাঙ্গামাটি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
নির্বাচন নিয়ে দু পক্ষের রয়েছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগ স্থানীয় ও বহিরাগত দলের লোকদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করার পায়তারা করছে।
তাই তারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা আছে এমন প্রশাসন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, যেসব কেন্দ্রে তার ভোট বেশি সেগুলোকে রহস্যজনক কারণে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিএনপি।
তারা বিভিন্ন জায়গায় নৌকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিজের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় দেখে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি এই প্রতিবেদকে বলেন, আমরা চাই ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সরকারি দল নির্বাচনে অবৈধ হস্তক্ষেপ করার জন্য বহিরাগতদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে।
এছাড়াও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে আসতে না পারে সে জন্য বাধা দেয়ারও চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এব্যাপারে আমি প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি।
ফটিকছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। জনগণ বাধাহীনভাবে ভোট দিতে পারলে এবং কারচুপি না হলে ধানের শীষ এখানে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে ইনশাআল্লাহ।
উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী বলেন, আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের মনোনীত মেয়র প্রার্থী একজন সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান মানুষ।
গত পাঁচ বছরের তিনি সততার সাথে পৌরসভার যে উন্নয়ন করেছেন তার জন্য পৌরবাসী তাকে আবার মেয়রের আসনে বসাবেন।
একাধিক ভোটার বলেন, আগে একবার পৌর সভায় নির্বাচন হলে ও এই বার প্রতীক নিয়ে প্রথম নির্বাচন, তাই নির্বাচনের আমেজটা ও বেশি। সুষ্ট নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকারের মাধ্যমে পৌরমেয়র নির্বাচিত হোক এটা আমাদের সাধারন জনগণের প্রত্যাশা।
সকল হিসাব নিকাশ ও জল্পনাকল্পনা অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল সন্ধ্যায় জানা যাবে বিজয় বাতাসের দোলা লাগবে কার গায়ে নৌকার পালে নাকি ধানের শীষের গায়ে।