রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন, সবার অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি: নাহিদ ইসলাম গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক নিরিহ ফিলিস্তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর বার্তা জামায়াতের ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সন্দেহের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস আবারও সোনার দামে রেকর্ড ডেমরা যাত্রাবাড়ীর ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক সম্মাননা প্রদান কিশোরগঞ্জ নিকলীর হিলচিয়া মাদরাসা থেকে ছাত্র নিখোঁজ, সন্ধান চেয়ে পরিবারের আকুতি হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা

মুহাম্মদ বিন সালমান সৌদিকে কোথায় নিয়ে যাবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাদের আলসারাস
ডয়চে ভেলে

সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান দেশকে আমূল বদলে দিতে চান৷ কিন্তু আবেগী এই যুবরাজের সফলতার সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে লিখেছেন ডয়চে ভেলের নাদের আলসারাস৷

‘নিওম' – ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এমন এক শহর, যা হবে প্রযুক্তি গবেষণার প্রাণকেন্দ্র৷ পুরোপুরি সৌর শক্তিচালিত এ শহরে মানুষের চেয়ে রোবটের সংখ্যা থাকবে বেশি৷

প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার ( ৪২৬ বিলিয়ন ইউরো)৷ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বড় এই প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য খুঁজছেন স্বপ্নদ্রষ্টাদের, যারা নতুন কিছু করার কথা ভাবেন৷

৩২ বছর বয়সি এ যুবরাজ এ সময়ের সৌদি আরবের অন্যতম ক্ষমতাবান মানুষ, নিওমের মতো চমকপ্রদ কিছু করার কথাই কেবল যিনি ভাবছেন না, যিনি তার দেশে ফিরিয়ে আনতে চান উদার ইসলামের চর্চা৷

অশীতিপর বাবা বাদশাহ সালমান কার্যত দেশের ক্ষমতা প্রিয় ছেলের হাতেই তুলে দিয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও তিনি পেট্রোলিয়াম কোম্পানি আরামকো ও দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷ উপ প্রধানমন্ত্রী পদও তার দখলে ছিল৷

সৌদি আরবের মতো একটি দেশে এমন পরিবর্তনের সুর বিষ্ময়কর৷ কিছুদিন আগেই নারীরা গাড়ি চালানোর অধিকার পেয়েছেন৷ রেড সি'তে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল আবাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে, যার অর্থ নারীরা সেখানে বিকিনি পরতে পারবেন, উন্মুক্ত থাকবে বার৷

পরিবর্তনের এমন সুর কিছুদিন আগেও ছিল অকল্পনীয়৷ অবশ্য সৌদি যুবরাজের এই উদারপন্থি মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করছেন অনেকে৷ একে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হটানোর কৌশল ভাবছেন অনেকেই৷ অনেকেই আবার বলছেন, এটা দেশে বিনিয়োগের আকর্ষণের কৌশল৷

অবশ্য অনেক সমালোচনা ভিত্তিহীনও নয়৷ এর মধ্যে সরকারের সমালোচনাকারী অনেক নেতা আটক হয়েছেন৷ রাজ্যের সত্যিকারের প্রয়োজন, যেমন গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা নেই কোনো৷

অন্যদিকে, সৌদি যুবরাজের উদারপন্থি এই মনোভাবের কারণে রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে পারে রাজপরিবার৷

এছাড়াও, এক ধাক্কায় দেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনের ভাবনাও খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষি, বিশেষ করে উদার রাজ্য গড়তে সৌদি যুবরাজের প্রচেষ্টা নিয়ে সন্দিহান সাধারণ মানুষও৷

এর মধ্যে বিন সালমানকে এতটা ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টিও সমালোচিত হচ্ছে অনেকক্ষেত্রে৷

২০১৫ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েই ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধাবস্থা তৈরির পর তাঁকে দেয়া ক্ষমতার কতটা সদ্বব্যবহার তিনি করবেন, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়৷

দেশকে আধুনিক করা কেবল কয়েকটা বড় প্রকল্প হাতে নেয়ার উপর নির্ভর করে না৷ এর জন্য প্রয়োজন আরো বেশি কিছু৷ খুব অল্প সময়ে তা হবার নয়৷ এর সাথে যোগ হয়েছে তেলের রপ্তানিমূল্য কমে যাওয়া এবং সৌদি বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া৷

সবমিলিয়ে, সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের পরিকল্পনা কতটা কাজ করবে , তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়৷

সৌদিতে উদারনীতি ফিরিয়ে আনার ঘোষণা মুহাম্মদ বিন সালমানের


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ