হামিম আরিফ
বিশেষ প্রতিবেদক
পরিবেশবান্ধব এক মসজিদ নির্মাণ করে পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের একদল প্রকৌশলী। ওয়াটারস্কেপ ও ল্যান্ডস্কেপের সমন্বয়ে তারা মসজিদ ও শাটল লোড শেড নির্মাণ করেন। যে ধারণাটি বাংলাদেশে সর্ম্পূই নতুন ও অভিনব।
অভিনব এ উদ্ভাবনই ওই প্রকৌশলীদের এনে দিল খ্যাতি ও পুরস্কার। মসজিদটি প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রাকৃতিকভাবে ভিতরে বায়ুপ্রবাহের ব্যবস্থা ও আলোর খেলা।
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার অ্যাম্বার ডেনিম কারখানায় তৈরি হয়েছে পরিবেশবান্ধব এ মসজিদ।
মসজিদটিতে প্রাকৃতিকভাবে বায়ুপ্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে পার্ফোরেটেড কংক্রিট ব্লক। বাইরের আলো-বাতাসের সঙ্গে স্থাপনার ভিতরও আলো-বাতাসের খেলা চলবে এটিই ছিল এই নকশার মূল বিষয়।
মসজিদটি নির্মাণে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে তাতে কার্বন নিঃসরণ ও বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম।
মসজিদটি দেখতে একেবারেই ব্যতিক্রম।দেয়াল এমনভাবে নির্মিত যে বাইরের বাতাস ভেতরে যায় অনায়াসে। আবার অন্যদিক দিয়ে বেরিয়েও যায়। এমনকি মসজিদের ওপর দিয়েও বাতাস ও আলো সরাসরি ভিতরে প্রবেশ করে থাকে।
মসজিদের চারপাশে রয়েছে জলাধার। এই জলাধারের স্বচ্ছ পানিতে বিদেশি নানা জাতের মাছ খেলা করতে দেখা যায়। এশিয়ার সেরা সব স্থাপত্যশৈলীকে প্রশংসিত করার আয়োজন করে থাকে আর্কেশিয়া কাউন্সিল।
এশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নমূলক টেকসই সব স্থাপত্যকর্ম আর পরিকল্পনা নিয়ে এশিয়ার সব দেশের সেরা স্থপতিরা একত্র হন আর্কেশিয়া কাউন্সিলে। স্থাপত্যকর্মের ওপর সংস্থাটি আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এবার ২১ থেকে ২৬ মে ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯তম আর্কেশিয়া ফোরাম। আর সেই ফোরামে পাবলিক অ্যামেনিটি ও শিল্প স্থাপনা এই দুটি বিভাগে সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের একদল প্রকৌশলী।
তিনবন্ধু লুত্ফুল্লাহিল মজিদ, মো. জোবায়ের হাসান, নবী নেওয়াজ খান
পরিবেশবান্ধব মসজিদ ও শাটল লুম শেড নির্মাণ করে এই পুরস্কার জয় করেছেন স্থপতি লুত্ফুল্লাহিল মজিদ, মো. জোবায়ের হাসান, নবী নেওয়াজ খানসহ বাংলাদেশি প্রকৌশলী দলের সদস্যরা।
জানা যায়, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি ও উপাদান ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে এ স্থাপনা। যা পরিবেশের সঙ্গে চমৎকার মানানসই।
স্থপতি জুবায়ের বলেন, আমরা মূলত ওয়াটারস্কেপ ও ল্যান্ডস্কেপের সমন্বিত একটি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শিল্প এলাকায় নির্মাণ করা এই মসজিদে প্রাকৃতিকভাবে বায়ুপ্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে পার্ফোরেটেড কংক্রিট ব্লক।
‘২৫০০ মসজিদের মেহনতে এগিয়ে চলছে ফিলিপাইনের মুসলিমরা’