সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করণে ইসলাম কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

যাকারিয়্যা মাহমূদ
অতিথি লেখক

মহান আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের মানুষ বানিয়েছেন। আর আমদের বেঁচে থাকার জন্য তিনি এ বিশ্বকে অসংখ্য নেয়ামত ও অফুরন্ত কল্যাণে সাজিয়েছেন। পৃথিবীতে সুশৃঙ্খল ও আরামদায়কভাবে জীবন যাপনের জন্য আমাদের দিয়েছেন অজস্র নেয়ামত সম্ভার। আর তারই ছোট্ট একটি দৃষ্টান্ত হল আজকের আধুনিক যানবাহন ব্যবস্থাপনা।

বর্তমান সময়ে যানবাহন আমাদের জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ। এটি সমাজ ও জীবনে এমনভাবে মিশে গেছে যে এর কোন বিকল্প নেই। জীবন ধারণের অন্যান্য উপকরণের সাথে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত অবিচ্ছেদ অংশ।

এছাড়াও আধুনিক মানব সভ্যতার একটি অপরিহার্য অংশ ও ঐতিহ্যেরর বাহনও এটি। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে এর ব্যাপক প্রভাব আজ প্রমাণিত সত্য। যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক করণের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে অনেকাংশে সহজ করে দিয়েছে।

দিন দিন বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন। তবে এ কথাও ঠিক যে, যতই প্রযুক্তির ব্যাবহার ও এর পরিধি বাড়ছে ততোই এর সাথে মানুষের জীবনের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে পরিবার হারাচ্ছে তার বেঁচে থাকার অবলম্বন, আমরা হারাচ্ছি একজন প্রিয় মানুষ, দেশ হারাচ্ছে একটি মেধা বা সম্পদকে।

একটি জরিপে বলা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৫৫ জন মানুষ মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ২০ হাজার ২৩ জন।

এভাবেই বেড়ে চলেছে প্রতিদিন সড়ক কিংবা মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল। বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা ও এতদসংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ।

তাই পৃথিবীর দেশে দেশে গড়ে ওঠেছে যানবাহন ও এতদসংক্রান্ত বিভাগ ও বিধিবিধান। গড়ে উঠেছে যানবাহন চালক বা ড্রাইভারের শিক্ষা, যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্ব বিবেচনায় সহায়ক, শক্তিশালী, উত্তম ও কার্যকর বিধানাবলী। আর এর একটিই উদ্দেশ্য তাহল, গণমানুষের জান-মালের সার্বিক নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা।

আমাদের বাংলাদেশেও সড়ক জনপদ, যানবাহন ও ট্রাফিক আইন রয়েছে। যদিও তা বাস্তবতার বিবেচনায় যথেষ্ট স্বচ্ছ ও পর্যাপ্ত নয়। এবং যটুকু আছে বাস্তবিক পক্ষে তার কোন কার্যকর বাস্তবায়নও নেই।

পবিত্র ইসলামেও ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের সকল স্তরের মানুষের জান-মালের সার্বিক নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এ জন্য ইসলাম প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও বিধিবিধান প্রণয়ন করেছে।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে অত্যন্ত বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন অজ্ঞ ও জাহেলরা তাদের ( অশালীন ভাষায়) সম্বোধন করে তখন তারা বলে সালাম”। আল ফুরকান: ৬৩

অন্যত্র বলেন, “আর ভূপৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না, তুমি তো কখনই ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না বরং উচ্চতায় কখনই পর্বতসম হতে পারবে না; এগুলোর মধ্যে যা মন্দ তা তোমার পালনকর্তার নিকট ঘৃণ্য”। বনী ইসরাঈল: ৩৭-৩৮

রাসূল সা. বলেন, “...তোমরা রাস্তার হক আদায় কর। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন রাস্তার হক কী ইয়া রাসূলাল্লাহ? তিনি বললেন দৃষ্টি অবনত রাখা, কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, সালামের উত্তর প্রদান, সৎকর্মের আদেশ ও অসৎকর্মের নিষেধ করা”। বুখারী, হাদীস নং ২২৯৭, মুসলিম, হাদীস নং ২১২১

রাসূল সা. অন্য হাদীসে বলেন, “মুসলমানদের কোন পথে বা কোন বাজারে যদি কেউ কোন জন্তু দাঁড় করিয়ে রাখে এরপর জন্তুটি যদি সামনের বা পেছনের পা দিয়ে কোন কিছু মাড়ায় তাহলে মালিক ক্ষতিপূরণ দেবে”, আদদারু কুতনী।

তবে হাদীসটি দুর্বল। কিন্তু তথাপিও হাদীসটি এ সংকান্ত ইসলামের নীতিমালাকে সমর্থন করে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ বিষয়ে বোঝা ও আমল করার তওফিক দিন। আমিন

বিবেকের আদালতে আল্লামা ইকবাল ও মুহিব খান প্রসঙ্গ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ