মাওলানা আবদুর রাজ্জাক
শিক্ষক ও কলামিস্ট
সেদিন গভীর রাতে বাংলাদেশি হাফেজ আব্দুল্লাহ অাল মামুন এর সুললিত কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত শুনলাম৷ প্রতিযোগিতায় তাকে যে তিনটি প্রশ্ন করা হলো; তার সবগুলোর উত্তর অামি শুনলাম৷ তেলাওয়াত শুনে চোখে পানি এসে গেল৷
সে আমাদের দেশকে বিশ্বদরবারে উঁচু করে তুলে ধরেছে৷ দেশের সম্মান বাড়িয়েছে৷ ৭৩টি দেশের মাঝে প্রথম হয়েছে৷ সে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মান-মর্যাদা কুরআনের সাথে জড়িত৷
বারবার হাফেজে কুরঅানের বিশ্বজয় করার পেছনে বিশ্বজয়ী হাফেজ এবং তার শিক্ষকের মেহনতই মূল কারণ নয়; সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য হিফজুল কুরআন মাদরাসায় কুরআনুল কারীমের যে তিলাওয়াত হচ্ছে তার একটি বরকতও নিশ্চয় রয়েছে৷
আমাদের এই গর্বের বাংলাদেশে এমন অনেক বুজুর্গ এখনো অাছেন যাদের গভীর রাতের আহযারী ও রোনাজারীর বদৌলতে এখনো মহান আল্লাহ আমাদের দেশকে বহু বিপদাপদ থেকে হেফাযত করছেন এবং দেশের সম্মান বাড়াচ্ছেন৷ এখনো এদেশে লাখো মানুষের ঘুম ভাঙ্গে শেষ রাতে হাফেজ ছাত্রদের কুরআনের তেলাওয়াতের মধুর সুরে ৷
রমজান মাসে হাফেজে কুরআনের তেলাওয়াত শ্রবন করতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেশের মানুষের কুরআনের প্রতি সীমাহীন ভালবাসারই প্রমাণ বহন করে৷
কিন্তু অামরা যারা দ্বীনের খেদমত করছি বা দ্বীন কায়েমের প্রত্যয় নিয়ে মাঠে ময়দানে সরব আছি৷ এ বিষয়টিকে অামরা কোন দৃষ্টিতে দেখছি? আমরা কি পেরেছি বিশ্বজয়ী হাফেজদের বড় ধরনের কোন সংবর্ধনা দিতে? তার জন্য কোন বড় অঙ্কের কোন পুরস্কার ঘোষণা করতে?
কুরআনের কথা শুনলেই যেসব মিডিয়ার গাত্রদাহ শুরু হয়, তারা এতো বড় অানন্দের খবরটি ককতটুকু হাইলাইট করেছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়৷
ইসলামের নামে যেসব মিডিয়া পরিচালিত হচ্ছে, যারা ইসলামের নামে দরগাহ আর দূর্গার খবর হাইলাইট করে ছাপায় তারা কি পেরেছে হেড লাইনে হাফেজে কুরআনের বিশ্বজয়ের সংবাদ ছাপাতে?
গতকাল একটি ইসলামি পত্রিকা হাতে নিয়ে খুবই মর্মাহত হয়েছি৷
কোন কোন পত্রিকা এখন ইসলাম ও জীবন পাতাকে আরো সংকুচিত করে ফেলেছে৷ ইসলাম ও বিনোদনকে একাকার করে দিয়েছে৷ এভাবে সবাই যদি ব্যবসায়িক চিন্তা নিয়ে কাজ করেন তাহলে দীনি চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করবে কে?
সৌদিতে ৭৩ দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশি হাফেজের ১ম স্থান অর্জন
বিস্ময়কর! ২ মাস ২৬ দিনেই হাফেজ কক্সবাজারের আরাফাত