আওয়ার ইসলাম: দেশে নৈতিকতার অবক্ষয় চরমে উঠায় দিনদিন ধর্ষণ ও অপরাধকর্ম বেড়েই চলছে। এবার তারই শিকার হলেন নোয়াখালীতে এক মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে চলছে শোকের মাতম।
একই দিন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পল্লীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউপির খাতুনে জান্নাত মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষিকা কুরআনে হাফেজা (১৫) মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মাদরাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হন।
রাস্তায় যানবাহনের অপেক্ষা করার সময় জমাদারবাড়ির সামনে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নেয় মধ্যম জিরতলী গ্রামের কোয়ারবাড়ির ইউছুপের ছেলে মোরশেদ (২৩) একই গ্রামের বেপারিবাড়ির তরিক উল্লার ছেলে বাবুল (২৫) এবং একই গ্রামের জমাদারবাড়ির সালাউদ্দিন (৩০)।
পরে তাকে জোর করে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর এলাকাবাসী টের পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে জিরতলী বাজারে নিয়ে যান।
পরে এলাকাবাসী তাকে বাড়ির ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
বাজারের লোকজন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে মাদরাসার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। (ডায়েরি নং-২৩৬৭)।
ধর্ষিতা শিক্ষিকার বাড়ি বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামে এবং তার বাবা মসজিদের একজন ইমাম।
এ দিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।