আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতিকে (বিজিএমইএ) অবৈধ ভবনটি ভাঙতে হবে সাত মাসের মধ্যে। আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাদের এ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার জন্য আরো একবছর সময় চেয়ে আবেদন করেছিল। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে এ দিন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
শুনানিতে বিজিএমইএর আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, 'এটাই শেষ সুযোগ। এরপর আর সময় চাইবেন না। এর মধ্যে যা করার করবেন। '
প্রসঙ্গত, ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মিত ১৬ তলা এই ভবনটি ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে এটি বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজারসংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই দিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন।
পরদিন ৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এরপর ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল রুলের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও বিজিএমইএকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ নির্দেশের পর একই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএর আবেদনে হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়ান সর্বোচ্চ আদালত।