ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার নূরিতলায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই পরিবারের দুই সদস্যসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫জন। রবিবার দুপুর ১২টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, দুইজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের বিনামউদ্দিন এর ছেলে গোলাপ খান (৬০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিন (৩৫), চান্দিনার বামনিখোলা গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে সুজন (২২)। আহতদের কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। নূরিতলার একটি মোড়ে এসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন। পরে আশঙ্কাবস্থায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার আরও দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে চান্দিনা ফায়ার স্টেশন এর দমকল কর্মী, চান্দিনা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের পৃথক টিম ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সুপার (কুমিল্লা পূর্বাঞ্চল) পরিতোষ ঘোষ সহ হাইওয়ে পুলিশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।