এম ওমর ফারুক আজাদ: মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে ফটিকছড়ির রাজপথ। ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আহবানে বিক্ষোভ ও গণ মিছিলে প্রতিবাদী জনতার এই জনস্রোত দেখা যায়।
আজ বিকাল ৩টায় ফটিকছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মাওলানা সলিম দৌলতপুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা বাবুনগরী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিয়ানমার মুসলিম গণহত্যা চালিয়ে নিজেদের জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করেছে। তাই মুসলিমদের রক্ষা করতে মায়ানমারের উপর সামরিক হস্তক্ষেপ করুন অন্যথায় আমাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিন। আপনি অনুমতি দিলে একলক্ষ তরুণ নিজেদের জীবনের বিনিময়ে বিপন্ন রোহিঙ্গা মানবতার স্বাধীনতা এনে দেবে।
সমেবেশে সংগঠনের ফটিকছড়ি উপজেলা সভাপতি ও নাজিরহাট বড় মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা সলিম উল্লাহ বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রাখতে চাইলে নিরাপত্তা পরিষদ যেনো দ্রুত মিয়ানমারের উপর সামরিক হস্তক্ষেপ করে।
জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস মুফতিয়ে আযম আল্লামা মাহমুদ হাসান বলেন, রোহিঙ্গাদের রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানের উপর ফরজে আইন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে যদি বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হয় তার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
এছাড়াও সমাবেশ থেকে বক্তারা বার্মিজ পন্য বর্জনের ডাক দেন।
সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাওলনা শিহাব উদ্দীন, মাওলানা হাবিব উল্লাহ আজাদি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সালাহ উদ্দীন দৌলতপুরী ও যুগ্ম সেক্রেটারি জননেতা হাসান মোল্লা, মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, ইব্রাহিম খলিল, নেছার উদ্দীন, হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
সমাবেশে সঙ্গীত গেয়ে প্রতিবাদী জনতাকে আন্দোলিত করেন চট্টগ্রাম নবজাগরণ শিল্পীগোষ্ঠির পরিচালক আলমগীর বিন কবির।
শেষে এক বিশাল গণ মিছিল ফটিকছড়ি সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।